জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদ: শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৯২ সাল থেকে। আজকের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের নেত্রী, সেই সময়কার তাঁর সহ যোদ্ধা তথা মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের প্রথম জোড়াফুলের সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা ভগবানগোলার সাগির হোসেন। পেশায় হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গী ছিলেন সাগির হোসেন। বলা যায়। তাঁর উপরে প্রথম থেকেই ভরসা করেছিল দল ও দলনেত্রী। পূর্বে জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। রাজ্যের প্রাক্তন সহ-সভাপতিও ছিলেন তিনি। মুর্শিদাবাদ শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন সাগির হোসেন। বর্তমানে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। দু’ বার লোকসভা ভোটে ও দু’ বার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। যদিও জয়ীর মুকুটে পাননি।
তার স্ত্রীর দাবি এইবার বিধানসভা নির্বাচনের দলনেত্রী টিকিট না দিয়ে বহিরাগত ইদ্রিস আলী কে ভগবানগোলা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই চরম মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে এবং মাস খানেক ধরে চরম মানসিক নিপীড়নের মধ্যে দিন কাটানোর পর সোমবার ভোটের দিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা যান। এই ঘটনা শোনার পরই স্থানীয় সাগির হোসেন এর অনুগামী তৃণমূল কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে তার পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী এমনকি বিরোধী দলের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে। তৃণমূলের এই বর্ষিয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া জেলা তৃণমূলের অন্দরে। তার পরিবারের তরফ থেকেও এই ঘটনায় সাগির সাহেব কে যোগ্য সম্মান না দেওয়াই চরমভাবে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। এহেন বর্ষিয়ান কয়েক দশকের তৃণমূল নেতার রাজনীতিতে উত্থান হয় উল্কা গতিতে। বর্তমানে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতির পদে ছিলেন বরিষ্ঠ এই নেতা সাগির হোসেন। সম্প্রতি তাকে দল তার জন্মস্থান ভগবানগোলা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী না করার প্রতিবাদে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত তাৎপর্যপূর্ণভাবে খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছিলেন, দল প্রার্থী না করলেও আলাদাভাবে প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct