আপনজন ডেস্ক: মিশরে জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বচিত হয়েছিলেন ইখওয়ানুল মুসলিমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুহাম্মদ মুরসি। মিশরে স্বৈরশাসক আল সিসি সো অভু্্যুত্থান ঘটিয়ে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুৎ করেন। তারপর মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে তকমা দেওযার চেষ্টা হয়। কিন্তু পমিশরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকাকলীন মুহাম্মদ মুরসি ইসলামের পথেই এগোচ্ছিলেন। তাই পশ্চিমা দেশগুলি তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে। একই মনোভাব দেখান আল সিসিও। কিন্তু তুরস্ক সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী ভাবে না। মিশরের স্বৈরশাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির প্রশাসন ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করলেও আঙ্কারার মতে মুসলিম ব্রাদারহুড একটি রাজনৈতিক আন্দোলন।
মঙ্গলবার হাবার তুর্ক নামী তুরস্কের স্থানীয় একটি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলুদ চাভুশওগলু বলেন, মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড একটি রাজনৈতিক আন্দোলন, কোনো সন্ত্রাসী আন্দোলন নয়। সাক্ষাৎকার চলাকালীন মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে তুরস্কের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তিনি খুব সুস্পষ্টভাবেই বলেন, তুরস্ক মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার বিরোধী। কেননা মুসলিম ব্রাদারহুড একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। কোনো সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন নয়।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রাদারহুড এমন একটি রাজনৈতিক আন্দোলন যারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। এখন তা আমাদের পছন্দ হোক বা না হোক।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ যাবত মিশর ও তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। উভয়ের মাঝে নিয়মিত ইতিবাচক আলোচনা ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলস্বরূপ বহুবছর পর সামনের মাসে তুর্কী পররাষ্ট্র প্রতিনিধিদের কায়রো সফরের আমন্ত্রণ জানায় মিশর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct