আপনজন ডেস্ক: করোনার দাপটে লকডাউন চলছে বাংলাদেশে। তার মাঝে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর (১৪) বাল্যবিবাহের আয়োজন করেছিল পরিবার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। প্রশাসনের তৎপরতায় বিয়েতো পণ্ড হলোই, বাড়তি জরিমানাও গুনতে হলো বর ও কনের পরিবারকে। ঘটনাটি ঘটে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার একটি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের এক যুবকের (২৪) গত বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ের আয়োজন করা হয়। প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে প্রতিবেশীদের কাউকে না জানিয়ে অনাড়ম্বরভাবেই চলছিল বিয়ের আয়োজন। কিন্তু স্থানীয় এক যুবক বিষয়টি কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানাকে ফোনে জানান। ইউএনও সঙ্গে সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় এবং উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পপি রানী তালুকদারকে বিবাহটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। ওই কর্মকর্তারা পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের বাড়ির লোকজন এবং বরসহ সঙ্গে আসা লোকজন পালিয়ে যায়।বাড়িতে শুধু থেকে যান কনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আর বরের সঙ্গে আসা এক আত্মীয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। অবশ্য আদালতের কাছে উভয় পক্ষের লোকজন হাজির হন এবং নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। এ সময় বিচারক অমিত রায় বরের বাবা এবং কনের বাবাকে জরিমানা করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct