আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী মুম্বাইয়ের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিশুদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শেষ হবে। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। বৈশ্বিক করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হলো কোভিড-১৯ থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া। এ বিষয়ে আদর পুনাওয়ালা জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর ভিত্তি করে সেরামের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে অনুমোদনের আবেদন জানানো হবে। তিনি আরও জানান, আশা করা যাচ্ছে ছয় মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হাজির হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সব শ্রেণির মানুষকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ডোজ নেই। আদর পুনাওয়ালা জানান, বিশ্বের কারোরই ভারতের সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। সেরামের ৬-৭ কোটি ডোজ উৎপাদনের সামর্থ্য রয়েছে। সরকারি অর্থায়ন ও ব্যাংকের ঋণ নিয়ে তা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারির দিকে উৎপাদন ১০ কোটি ডোজে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে সেরাম।এদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাটের অভিযোগে সতর্কতার অংশ হিসেবে শিশুদের ওপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্ডু পোলার্ড জানান, শিশুদের ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই। তবু বিজ্ঞানীরা রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগের বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন। শিশুদের ওপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। এই ভ্যাকসিন ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছে কিনা, পরীক্ষায় মূলত সেটাই মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct