জৈদুল সেখ, নবগ্রাম: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামকে বলা হতো মুর্শিদাবাদের সোভিয়েত বা সিপিএমের লাল দুর্গ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এসেছে গঙ্গা ভাঙনের মতো নানান পরিবর্তন, নবগ্রামের এক সময়ের হেভিওয়েট সিপিএম নেতা কানাই চন্দ্র মন্ডল তৃণমূলে চলে যাওয়ার পর অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল বামেরা কিন্তু লকডাউনের পর থেকেই মিনাক্ষী মুখার্জীর মতো তুখোড় বক্তা নিয়ে মিটিং মিছিল করে কমরেডদের নতুন ভাবে লড়াই শুরু করার পর দলে দলে ভিড় করেছে ছাত্র যুবকদের, পথ দেখিয়েছে নতুন ভাবে লড়াই করার। সেই লড়াইয়ের অপর নাম কৃপালিনী ঘোষ। উচ্চশিক্ষিত, দীর্ঘদিন বামপন্থী ছাত্র যুব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগে নবগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত রাধারঘাট অঞ্চলে প্রধান ছিলেন। এবারে সংযুক্ত মোর্চার সিপিএমের প্রার্থী কমরেড কৃপালিনী ঘোষ।
তিনি মানুষের কাছে এতো দ্রুত পৌঁছাতে পারেন যে পার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে চায়ের দোকানে দোকানে থেকে বাজারে বাজারে ভোট প্রচার করে তাক লাগাচ্ছে নবগ্রাম বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার সিপিএমের প্রার্থী কৃপালিনী ঘোষ। প্রার্থীকে কাছে পেয়ে কর্মীরাও বেশ উৎসাহ পেয়ে প্রচারেরও জোড় দেখা যাচ্ছে বিশেষত শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের ভিড় লক্ষ্য করা গেল।
বুধবার সকাল থেকেই বহরমপুর থানার অন্তর্গত নবগ্রাম বিধানসভার উদয়চাঁদপুর, পর্বতপুর, প্রচার সারেন এর পর চড়া রৌদ্রে দেখা গেল সাহাজাদপুর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রচার করতে।
উল্লেখ্য, একসময় সিপিএমের গড় নবগ্রাম বিধানসভাতেও এবারের নির্বাচনে অভিনব লড়াই। সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী কৃপালিনী ঘোষ, বিজেপি প্রার্থী মোহন হালদার এবং একদা সিপিএম অধুনা তৃণমূল কানাই মন্ডলের লড়াই। কানাই মন্ডলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নানা রকমের অভিযোগ । সিপিএমের সাংগঠনিক শক্তি আগের চেয়ে দুর্বল হলেও নেহাৎ কম নয়। বরং তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। আবার সংগঠন কিছুটা দূর্বল থাকলেও শাসকবিরোধী সাধারণ ভোটারের ভোট মূলত জড়ো হচ্ছে সংযুক্ত মোর্চার দিকে যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি এবার ত্রিমুখী লড়াই হবে।
গত বিধানসভায় এই কেন্দ্র বামফ্রন্টের প্রার্থী ছিল কানাই চন্দ্র মন্ডল, তিনি বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে যোগ দান করছিলেন এবং বর্তমানে কানাই চন্দ্র তৃণমূলের প্রার্থী। সে প্রসঙ্গে কৃপালিনী ঘোষ বলেন , “ আমাদের লড়াই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে নয় নীতির বিরুদ্ধে, কাজের দাবিতে, চাকরীর দাবিতে, কানাই চন্দ্র মন্ডল মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছেন তাকে মানুষ সমর্থন করবেন না , আমরা এলাকায় ঘুরে যা বুঝতে পারছি মানুষ বামেদের সঙ্গে আগেও ছিল এখনও আছে “
তবে সাধারণ মানুষের কাছে বেকারত্ব, চাকরি শিল্প এই দাবিতে যেভাবে পৌছানোর চেষ্টা করছেন কমরেড কৃপালিনী ঘোষ, মানুষের কাছে কতটা সাড়া ফেলতে পাচ্ছেন উত্তর মিলবে আগামী ২ রা মে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct