সজিবুল ইসলাম, জলঙ্গি: বুধবার সন্ধার পরে যখন রাজ্য নেতৃত্ব সিপিআইএম পার্থী ঘোষণা করছেন তখন জলঙ্গি মাটিতে চলছে টানটান উত্তেজনা। তারই মাঝে যেন জল ঢেলে দিল রাজ্য নেতৃত্ব। যে পার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাকে এক অংশ চাই না বলেও অভিযোগ জলঙ্গি বিধানসভার অনেক কমরেডদের বলেও জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে।
জলঙ্গীর জেলা নেতা আবু বাক্কার বাড়ি ঘুরে বিক্ষোভ দেখায় কিছু সিপিআইএম কর্মী সমর্থক ,তাদের দাবি যে এই বারের বিধান সভায় অনেক চ্যালেঞ্জ আছে তাই পরিচিত একটা মুখ কে পার্থী করা হোক,যদিও সেই মুখ হিসেবে প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস আলী সরকারের নাম তুলে ধরেন। গত কাল থেকে পার্টি অফিসেও তালা বদ্ধ করে রাখা হয় বলেও জানা যায়।
যদিও প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার বলেন যে এবার যুবদের বেশি করে প্রার্থী করা হবে। সেই মতো আমি প্রার্থী হব না বলে জানিয়ে দিয়েছিলাম। তবে আজ যে প্রার্থী ঘোষণা হল সেটা দেখে অবাক হলাম যে ৬৭ বছরের যুবক কে প্রার্থী করে কিসের বার্তা দিল রাজ্য নেতৃত্ব। দলে যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটায় মেনে নিব।
অনেকে আবার পোস্ট করছেন যে জলঙ্গি বিধান সভার পার্থী কে সরিয়ে নেওয়া হোক, নইলে তাকে জেতানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
কেও আবার লিখছেন যে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সিপিআইএম আগের দুবারের বিধায়ক ছিলেন। তাকে সুবিধা করে দিতে এই ভাবে পার্থী করেছেন জেলা নেতা বলেও অভিযোগ করছেন।
প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মোল্লা ,৬৭, তিনি সাদি খাঁন দেয়ার অঞ্চলের দু বারের প্রধান ছিলেন ও জলঙ্গী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন। অন্য দিকে ডোমকল বিধানসভার পার্থী ঘোষণা হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বর্তমানে ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। যদিও দীর্ঘ দিনের লড়াকু বিধায়ক আনিসুর রহমান শারীরিক অবস্থার কারণে নিজে থেকেই প্রার্থী না হবার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।
যদিও জলঙ্গীতে সিপিআইএম প্রার্থী ঘোষণা হতেই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে কথাবার্তা চলছে ।শাসক দলের পোস্ট করছে যে এবার নিশ্চিত হলাম পঞ্চাশ হাজার ভোটে জয়ী হবো।
যদিও তৃণমূলের মধ্যেও একি সমস্যা চলছে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিষয়ে, সোশ্যাল মিডিয়া অনেক পোস্ট করেছেন। এমনকি নির্দল প্রার্থী করার আলোচন চলছে বলে তৃণমূলের এক জেলার নেতা বলেন, আমরা ভাবনা চিন্তা করছি কাকে নির্দল প্রার্থী করা হয়। আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রায় সাতটা পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ জেলা পরিষদের সদস্য মিলে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে লিখিত অভিযোগ করেন।
এবার কি সেই একই পথে জলঙ্গী সিপিআইএম নেতৃত্ব হাঁটতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও এখনও কোনো মন্তব্য করতে চাইনি কেউ,ভাবনা চিন্তা চলছে বলে এড়িয়ে যান।
যদিও এই বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস এখনও আশাবাদী যে তাদের পার্থী করা হবে বলেও। এখন দেখার বিষয় যে দুই দল কোন পথ বেছে নেন, না বিক্সুব্ধ কর্মীরা এক হয়ে প্রার্থী দেন। সেটাই দেখার এখন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct