এহসানুল হক, বসিরহাট: সপ্তর্ষী ব্যানার্জি পেশায় চিকিৎসক। বহু বছর ধরেই বসিরহাটের চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত তিনি। বসিরহাটের বিভিন্ন অলিগলি তার পরিচয় আছে। এদিন তিনি বসিরহাটের পিফা পঞ্চায়েতের প্রথম প্রচার শুরু করলেন। কেননা পিফা পঞ্চায়েতের দেভোগ তার জন্মভূমি। তিনি জানিয়েছেন বাপ ঠাকুর দাদা এই পিফা থেকেই বড় হয়েছেন। তাই পিফা আমার কাছে একটা অ্যাডভান্টেজ। আমি পিফার মানুষের পাশে নিয়েই আমার রাজনীতির পথ চলা শুরু করলাম। এদিন সাংবাদিকদের তিনি বলে ,আমি জানতামই না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বসিরহাটের জন্য মনোনীত করবেন। আমি যখন সংবাদ পেলাম ঠিক সেইসময় অপারেশন থিয়েটারে, চোখের অপারেশন করছি। আমার শুনে খুবই আনন্দিত হচ্ছিল। বাংলার মানুষের স্বার্থে কিছু কাজ করতে পারবো। বিশেষ করে বসিরহাট মানুষের স্বার্থে এদিন তিনি বলেন, কে কোন নেতা কোথায় গেল আমার দেখার দরকার নেই, দিদির সৈনিকরা আমার পাশে রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বসিরহাট থেকে এই সিটটি জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে পারব। এদিন পিফা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় সকালবেলায় তিনি পৌঁছে যান। তাকে দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা উৎফুল্ল। প্রথমে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর চলে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার। কখনো কখনো দেওয়াল লিখন, আবার কখনো দোকানে দোকানে গিয়ে মানুষের সঙ্গে পরিচিত ঘটাচ্ছেন। কখনো আবার মোটরসাইকেলের বাইকে চেপে রেলিতে অংশগ্রহণ। প্রথম দিনের প্রচারে মানুষের কাছ থেকে ভালোই সাড়া পেলেন। বসিরহাটের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের শাহানুর মন্ডল বলেন, আমরা দিদির সৈনিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটাই বলবেন সেটাই আমরা করবো। কেননা লিডাররা যেতে পারেন অন্য দলে কিন্তু কর্মীরা কোনদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না। আমরা এই বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রার্থী জিতিয়ে উপহার দেব। এদিন প্রচার উপস্থিত ছিলেন পিতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলমগীর মন্ডল, প্রধান, ব্লক সংখ্যালঘু সেল এর নেতা রবিউল ইসলাম শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহমান সহ নেতৃত্ব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct