আপনজন ডেস্ক: বুধবার বেশ কয়েকটি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর প্রবল উচ্ছ্বাসের মধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়সকে হার মানিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে হেঁটে মনোনায়ন পত্র জমা দিতে গেলেন মহকুমা শাসকের দফতরে। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সী। মুহূর্তের মধ্যে মহকুমা চত্বর ভিড়ে ঠাসা হয়ে যায়। মুহুর্মুহু ধ্বনি উঠতে থাকে ‘খেলা হবে’। কর্মী-সমর্থকের প্রভর উচ্ঝাসের মধ্যেই সানন্দে মনোনায়নপত্র জমা দেন মমতা। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর নির্বচানে লড়াই করা ইতিহাস হয়ে দাঁড়াল।
দুপুর দুটো নাগাদ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তৃণমূল নেত্রীর মুখে তখন স্বস্তির ছাপ। তারা ছিল কলকাতায় ফেরার। কারণ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নির্বাচনীেইস্তেহার তার হাত দিয়ে প্রকাশ হওয়ার কথা। কে জানত এই সুখের মুহূর্তের পর ‘অন্তর্ঘাত’-এর কবলে পড়বেন মমতা!
নন্দীগ্রামকেই উন্নয়নের নিমানা করার লক্ষ্যে এক বছরের জন্য বাড়ি বাবাড় নিয়েছেন মমতা। এবার সেই নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার জন্য যে চারজন সুপারিশ করেছেন তারা নন্দীগ্রামের। তারা হলেন, মহাদেব, স্বদেশ দাস, সুষমা ও আব্দুর সামাদ। হিন্দু মুসলিম প্রস্তাবকারীদের মিশেলে মমতা সম্প্রীতিকেই পাথেয় করলেন। আর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর ভোটে জোতানোর যিনি প্রকৃত কারিগর সেই সেখ সুফিয়ান হয়েছেন মমতার চিফ ইলেকশান এজেন্ট।
তাই মনোনায়ন পেশ করে মমতা স্বাভাবিক ঢঙে বলেন, নন্দীগ্রাম তার কাছে নতুন জায়গা নয়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পাশে ছিলেন। তাই সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রাম থেকে একবার নির্বাচনে লড়াই করার ইচ্ছা চিল। নন্দীগ্রামের মানুষের সমর্থন পেয়েছেন বোটে দাঁড়ানোর জন্য। তাই তৃণমূল নেত্রী আশা করছেন নন্দীগ্রামের মানুষ তাকেই ভোট দেবেন। চেয়েছিলাম। নন্দীগ্রামে এসে তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, এখান থেকে লড়বো? আর সম্পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলাম। আশা করি, সবাই আমাকে ভোট দেবেন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct