আপনজন ডেস্ক: করোনায় মৃত মুসলিমদের দেহ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল শ্রীলঙ্কা সরকার। আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে শ্রীলঙ্কা সরকার অবশেষে এই সিদ্ধান্তে এল।
জানা গেছে করোনা ভাইরাসে মারা যাওয়া মুসলমানদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার বিতর্কিত বাধ্যতামূলক আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের মহামারি শুরুর পর এই ভাইরাসে মৃতদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার বাধ্যবাধকতা জারি করে শ্রীলঙ্কা। দেশটির সরকারের দাবি মরদেহ সমাহিত করা হলে তা থেকে ভূগর্ভস্থ জলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সমালোচকদের দাবি এই আদেশের উদ্দেশ্য ছিল সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর আঘাত হানা। ইসলামে মরদেহ পোড়ানো নিষিদ্ধ হওয়ায় এর মাধ্যমে ধর্মটির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অনেকে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে শ্রীলঙ্কায় মুসলিম নিপীড়নসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
২৬ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে নিহত প্রায় এক লাখ তামিল সংখ্যালঘুকে হত্যায় দায়ীদের বিচার এবং মানবাধিকার হরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ বাড়াতে চায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। তবে এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে শ্রীলঙ্কা। মানবাধিকার কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে তারা।
মুসলমানদের মরদেহ পোড়ানোর আদেশ দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রবল চাপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
এসব গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আদেশের মাধ্যমে মুসলমান, ক্যাথোলিক এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কয়েকটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। এবার তারা স্বচ্ছ ভাবধারা তুলে ধরতে পুরনো সিদ্ধান্ত পালটে ফেলল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct