সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: ফের পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান শুরু করল বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। সকালে পুলিশ ও ভূমি সংস্কারের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া ব্লকের বানজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদর নদী গর্ভের বিস্তীর্ণ এলাকায় অভিযান চালায় আবগারি দফতর। ট্রাক্টর ও রোটার চালিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয় বিঘের পর বিঘে জমির পোস্ত গাছ।
বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের সীমানায় মেজিয়া ব্লকের বানজোড়া এলাকা দিয়ে বয়ে চলেছে দামোদর নদ। নদীর গর্ভে জেগে ওঠা এই চরের জমির মালিকানা কোনো ব্যক্তির থাকে না। জমিগুলি কোনো ব্যাক্তি মালিকানাধীন না হওয়ায় অসাধু কৃষকদের চিহ্নিত করাও যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়ে। অসাধু কৃষক ফি বছর গোপনে রোপন করে দেয় পোস্ত বীজ। তবে এবার আগাম খবর পেয়ে আবগারি দফতর রীতিমত বড়সড় অভিযান চালাতে শুরু করেছে।
পলি মাটি সমৃদ্ধ সরকারি সেই জমি যথেষ্ট উর্বর হওয়ায় দু পাড়ের কিছু কৃষিজীবী মানুষ সেখানে আলু ও সবজী চাষ করেন। আর এই আলু ও সবজী জমির মাঝেই কিছু অসাধু কৃষক ফি বছর গোপনে রোপন করে দেয় পোস্ত বীজ। পোস্ত গাছে ফল আসতেই এই এলাকায় শুরু হয় মাদক কারবারিদের আনাগোনা। গাছে ধরে থাকা পোস্তর ফল থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে মাদক জাতীয় বহুমূল্য উপক্ষার সংগ্রহ করে তা চড়া দরে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় কারবারিরা। আর এভাবেই সরকারি জমিতে ফি বছর চলে কোটি কোটি টাকার মাদকের চোরা কারবার। এই চরগুলির দুর্গমতার কারনে পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারিও সেভাবে থাকেনা। জমিগুলি কোনো ব্যাক্তি মালিকানাধীন না হওয়ায় অসাধু কৃষকদের চিহ্নিত করাও যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এবার আগাম খবর পেয়ে আবগারি দফতর রীতিমত বড়সড় অভিযান চালাতে শুরু করেছে। দামোদরের চরে এই পোস্ত চাষের সাথে কোনো আন্তঃরাজ্য বা আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে আবগারি দফতর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct