আপনজন ডেস্ক: ইনস্টিটিউট অফ অবজেক্টিভ স্টাডিজ বা আইওএস-এর কলকাতা চ্যাপ্টার ও এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ যৌথভাবে পাঁচ দিনব্যাপী শীতকালীন স্কুল কর্মসূচি সম্প্রতি শেষ হল। মোট সাতটি ব্যবসায়িক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনও ছিল। যার মধ্যে দেশের বিশিষ্ট আলেম এবং বিখ্যাত প্রফেসররা বিভিন্ন সংবেদনশীল ও শিক্ষামূলক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সম্বোধন করেছেন এবং পাঠ দিয়েছেন এবং সব ধরণের সন্দেহ ও সন্দেহ যুক্ত বিষয় দূর করেছেন।
এই “শীতকালীন স্কুল” থেকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আরো দশটি প্রদেশের প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী (শিক্ষক, জিব্রিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল)-এর কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ধর্মতত্ত্ব বিভাগের ড. শামীম আক্তার কাসেমি। সূচনা বক্তব্যটি বিস্তৃতভাবে নিউ দিল্লির অবজেক্টিভ স্টাডিজ ইনস্টিটিউট অফ জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর জেড এম এম খান। উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলেন, এ জাতীয় কর্মসূচি সর্বাধিক করা উচিত। মওলানা মুহাম্মাদ খালিদ নাদভী গাজীপুরী, শায়খ-উল-হাদীস নাদওয়াতুল উলামা লখনউ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আলী, অধ্যাপক নীলাঞ্জনা গুপ্ত (ইংরেজি বিভাগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) , মীর রেজা-উল-করিম, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতার রেজিস্ট্রার ড. সৈয়দ নূরুস সালাম, জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার ইকতেদার মুহাম্মাদ খাঁন। ইনস্টিটিউট অব অবজেক্টিভ স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আলম সভাপতির ভাষণ দেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হাফিজ আবদুল বাসিত ইসমাইল।
দ্বিতীয় দিন দুটি ব্যবসায়িক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে দিল্লির জামিয়া হামদর্দের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর ইশতিয়াক দানিশ “ইসলাম একটি বিশ্বাস ও সভ্যতা” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে “কুরআন সংগ্রহ ও সংকলন” নিয়ে বলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শামীম কাসেমি এবং মেহতাব আলম নাদভী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct