আপনজন ডেস্ক: উইঘুরদের ওপর চিনের অত্যাচার গণহত্যার শামিল, এই প্রস্তাব পাশের দাবি উঠল কানাডার পার্লামেন্টে। সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে দাবি ওঠে জিনজিয়াং প্রদেশে জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের সঙ্গে চিন যে আচরণ করছে তা গণহত্যা। । পার্লামেন্টের এই প্রস্তাব কানাডার লিবারেল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, কানাডার হাউস অব কমন্সে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির আনা এই নন-বাইন্ডিং মোশনটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২৬৬টি। এর বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। তবে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির পেছনের সারির নেতারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও উইঘুর জনগণের ওপর নির্যাতনের সংবাদ প্রতিবেদন তুলে ধরে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা মাইকেল চং বলেছেন, ‘আমরা এটি আর অবজ্ঞা করতে পারি না। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে এটি একটি গণহত্যা।’
ভোটের আগে এক সাক্ষাৎকারে চং বলেন, ‘পশ্চিমের দেশগুলো চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তারা মনে করে জিনজিয়াংয়ে কোনো গণহত্যা চলছে না।’
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করতে নারাজ। তিনি মনে করেন পশ্চিমের মিত্র দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করাটাই ভালো হবে।
গত শুক্রবার জি ৭ এর নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ট্রুডো ‘পশ্চিমের গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জিনজিয়াংয়ে চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা’র পক্ষে মত দেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আজ কানাডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জো বাইডেনের সঙ্গে ট্রুডোর ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে। সেখানে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ও আলোচনা হতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নির্যাতন সম্পর্কে বলেছিলেন, সেখানে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংগঠিত হয়েছে। কানাডায় চীনের রাষ্ট্রদূত কং পেইউ জিনজিয়াংয়ে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct