আপনজন ডেস্ক: শিক্ষার উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণের দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। সেই অভিযানকে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে পুলিশি প্রতিরোধে। নবান্ন অভিযান রুখতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক লাঠি চালাতে হয়। তার জেরে বহু ছাত্র ও যুব আন্দোলনকারী আহত হয়। তাই পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বামফ্রন্ট শুক্রবার ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে রাজ্যজুড়ে।
বৃহস্পতিবার এই হরতাল ডাকার কথা জানান সিপিএম বিধায়ক এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুহাম্মদ সেলিমও বলেন, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ও হরতাল পালন করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশ িঅত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে হরতাল।
এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এক বিবৃতি দিয়ে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে পুলিশি অত্যাচারকে জালিয়ানওয়ালাবাগের মঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, অনেকের আঘাত গুরুতর। ইতিপূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, মহিলাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপরেও রাজ্যের পুলিশ অত্যাচার করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বামফ্রন্ট ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার রাজ্যব্যাপী হরতাল ধর্মঘটের আহবান জানানো হয়েছে।
বামেদের ডাকা এই হরতালকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি।
অন্যদিকে হরতাল মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকারও। জোর করে অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ বা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা হলে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিন্হা রায়। হরতাল মোকাবিলায় শহরে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে জানান তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct