আপনজন ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে নিয়োগের দাবীতে উচ্চশিক্ষা দফতরে ডেপুটেশন দিয়েছেন চাকুরিপ্রার্থীরা। এই নিয়ে তৃতীয় বার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দফতরে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন ২০১৮ সিএসসি প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা।
চাকুরিপ্রাথীরা অভিযোগ করেছেন, ‘মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কলেজে নিয়োগ পাননি প্রায় ৪০০ জন। ২০১৯ সালে ইন্টারভিউ দিয়েও অপেক্ষামান অনেকেই। ফর্ম ফিলাপ করে ভাইভা হয়নি কয়েকটি বিষয়ে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ননা করেই কমিশন আবার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ফর্ম ফিলাপের জন্য।’ চাকুরিপ্রাথীদের একজন সেখ আবদুল হামিদ এদিন দাবী করেন, ‘এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫২ টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে পূর্ণসময়ের স্থায়ী অধ্যাপকের শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার। তারপরও মেধা তালিকা থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, ‘রাজ্যের একাধিক কলেজে ‘ফিল্ম স্টাডিজ’ বিষয় হিসাবে পড়ানো হলেও ২০১৮ সালের মেধাতালিকা থেকে মাত্র একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বহু কলেজে এই বিষয়ে স্থায়ী অধ্যাপক নেই। নিয়োগ পাননি মেধাতালিকাভুক্ত দ্বিতীয়জনও। এরইমাঝে আবার ২০২০ সালের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে এবং শিক্ষা দফতরের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।’
এদিকে ২০১৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় মেধা তালিকাভুক্তদের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে একটি সংগঠন। এই সংগঠনের মুখপাত্র বিনয়কৃষ্ণ পাল অভিযোগের সুরে এদিন জানান, ‘মেধা তালিকার মেয়াদ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই কমিশন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর নতুন এক অস্বচ্ছ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে কোন বিষয়ে কত শূন্যপদ রয়েছে, কোন কোন বিষয়ে অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে, পরীক্ষার পদ্ধতি কী হবে- ইত্যাদি বিষয়গুলি জানানো হয়নি। পিএইচডি প্রাপকদের আবেদনের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সংকটময় করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ সার্ভিস কমিশন আবেদন ফি বাড়িয়ে দু’ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct