ফৈয়াজ আহমেদ: আজকের দিনে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বাজারে কাগজের ব্যাগের চাহিদা বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। এর সাথে সাথে বেড়েছে কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা।এটি ইকো ফ্রেন্ডলি। কাগজের ব্যাগের ব্যবসা লম্বা সময় ধরে চলবে কারণ যে কোনো কোম্পানি বা দোকানদার জিনিসপত্র প্যাকিং এর জন্য এর ব্যবহার করবে।
শুধুমাত্র খেয়াল রাখতে হবে এর উৎপাদনের সময় যেন কোয়ালিটি খুব উন্নতমানের হয়। কেননা পেপার ব্যাগে খাদ্য দ্রব্য জাতীয় জিনিসও প্যাকিং করা হয় এছাড়া পার্টি ব্যাগ, শপিং ব্যাগ, জুয়েলারী প্যাকিং এবং সাধারণ ব্যবহারের জন্য দরকার হয়। পদ্ধতি: প্রথমে বাজার থেকে ভালো মানের কাঁচামাল কিনে নিয়ে আসতে হবে – পেপার শিট, পেপার রোল, আইলেট, লেশ, প্রিন্টিং কেমিক্যাল ইত্যাদি।
কাগজের ব্যাগ বানানোর জন্য পদ্ধতি অনুসারে পরের পর অনেকগুলো মেশিনের ব্যবহার হয়। এগুলি হল টেস্টিং স্কেল মেশিন, ক্রিজিং মেশিন, কাটিং মেশিন, লেশ ফিটিং মেশিন, আইলেট ফিটিং মেশিন, পাঞ্চিং মেশিন এবং প্রিন্টিং মেশিন। প্রথমে যে সাইজের আমরা ব্যাগ বানাতে চাই, তার সঠিক মাপ নিয়ে কাটিং মেশিনের সাহায্যে ভালো ভাবে কেটে নিতে হবে।
তারপর প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে কোম্পানির নাম বা লোগো ভালো ভাবে ছেপে নিতে হবে। এরপর মেশিনের সাহায্যে এটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফোল্ড হয়ে জোড়া লেগে ব্যাগ তৈরি হয়ে আসবে। ব্যাগ তৈরি হওয়ার পর সব শেষে লেশ এবং আইলেট ফিট করে দিতে হবে। এইভাবে কমপ্লিট ব্যাগ তৈরি হয়ে যায়।
মেশিনের দাম: মেশিনের দাম মেশিনের সাইজ এবং উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে আলাদা আলাদা আছে। পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দাম প্রায় ৮ – ১০ লাখ টাকা। এর উৎপাদন ক্ষমতা ১৫০ পিস/ ঘন্টা। অর্ধ স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দাম প্রায় ৩ লাখ টাকা। এতে লেবারের পরিশ্রম এবং সংখ্যা বেশি লাগবে। মেশিন কেনার জন্য ইন্ডিয়ামার্ট বা ট্রেডইন্ডিয়া ডট কম এ খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন।
লেবার: কারখানার জন্য লেবার সব সময় গ্রাম্য এলাকা থেকে নিতে হবে, যাতে উপযুক্ত মূল্যে খুব সহজেই লেবার পাওয়া যায়। সূক্ষ্ম, লঘু বা মধ্যম উদ্যম ব্যবসার জন্য বেশি লেবারের প্রয়োজন হয় না। তবে ব্যবসা শুরু করার প্রারম্ভিক কালে তাদের জন্য ট্রেনিং ক্লাসেস রাখতে হবে এবং নিজেকেও একটু সুপারভাইজ করতে হবে। যাতে, লেবাররা কাজ শিখে পেশাদারিত্বের সাথে নিজের দক্ষতায় উন্নত মানের উৎপাদন করতে পারে।
টিপস: ১. মেশিন কেনার আগে সেই মেশিন কোনো ফার্মে বা মেশিন সাপ্লাই কারীর অফিসে গিয়ে চাক্ষুস তার উৎপাদন কার্যক্ষমতা ঠিক ঠাক দেখে নিতে হবে। সব সময় ভালো কোয়ালিটির মেশিন নিতে হবে যাতে কম সময়ে খুব ভালো কোয়ালিটির মাল উৎপাদন করা যায়।
২. কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে মার্কেটে ভালো সাপ্লায়ার খুঁজে বের করতে হবে, যে উচিৎ মূল্যে ভালো মাল সাপ্লাই করবে। ৩. মেশিনের মেন্টেনেন্স খুব ভালো করে রাখতে হবে। গ্রিসের বা লুব্রিকেন্ট তেল চেঞ্জিং সময়মতো করতে হবে। এগুলো উৎপাদন কার্যক্ষমতার উপর এফেক্ট করে। মেশিন চালানো বা বন্ধ করার সময় তার গাইডলাইন মেনে সব সতর্কতা নিতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct