আপনজন ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগি মার্কাজে ইজতেমা বা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক হয়েছিল। বিভিন্ন বিজেপি নেতা ছাড়াও এক শ্রেণির মিডয়া তবলিগি জামাতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে ছাড়েনি। দেশে করোনা সংক্রমণের দায তবলিগি জামাতের উপর চাপিয়ে নানা প্রচার করে জনমানসে মুসলিমদের সম্পর্কে একটা বিদ্বেষী মনোভাবের চেষ্টা চলে। যদিও সরকারি তরফে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য তবলিগি জামাতের কর্মীদেরকে দায়ী করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। বরং, করোনা ছড়ানোর অভিযোগে যেসব বিদেশি তবলিগিকে গ্রেফতার করে জেলবন্দি করা হয়েছিল, তাদেরকে আদালত বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সামাজিক সংগঠন ‘বিবেক কালেক্টিভ’-এর এক সমীক্ষা রিপোর্টেও সেই সত্যতা মিলল। ৪০ পাতার এই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে প্রচারণা চালানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর প্রমাণ মেলেনি। এমনকী তাদেরকে যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের হাতিয়ার করা করার চিত্রও ফুটে উঠেছে ওই সমীক্ষা রিপোর্টে।
এ ব্যাপারে ‘বিবেক কালেক্টিভ’-এর সেব্চ্ছাসেবকরা দেশের সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এক সমীক্ষা চালায়। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লিতে এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক যে মত গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে ‘বিবেক কালেক্টিভ’ ‘কম্যুনালাইজেশন অফ কোভিড-১৯: এক্সপেরিয়েন্সেস ফ্রম ফ্রন্টলাইন’ শীর্ষক এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে মত প্রকাশ করা হয়েছে মুসলিমদেরকে ‘ভাইরাস’ ‘সংক্রমণ’ প্রভৃতি তকমা দেওয়া হয়েছে এক শ্রেণির মিডিয়ার অপপ্রচারের জন্য। আর তবলিগিরে সম্বন্ধে ‘মানব বোমা’, ‘জঙ্গি’, ‘সুপার সংক্রমক’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ প্রভৃতি মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়া হয়েছে। যদিও, রিপোর্টে বলা হয়েছে এই তবলিগিরা করোনা সংক্রমিত রোগীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। তারা নিজেদের প্লাজমা দান করেছিলেন করোনা রোগীদের সুস্থ করার জন্য। তা সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার মুসলিমদেরকে ঘৃণ্যচোখে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct