আপনজন ডেস্ক: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি একে একে ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে আইন চালু করে চলেছে। এর মুখ্য উদ্দেশ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকরা যাতে হিন্দু তরুণীদের বিয়ে করতে ধর্মান্তর না করে। তাই ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ধর্মান্তরণবিরোধী আইন চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক ভাবে এই আইনের অপব্যবহারে মুসলিমদের হেনস্থা করা হচ্ছে। ‘লাভ জিহাদ’ আইনের অপব্যবহার করে মানুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও কয়েকজন বিমিষ্ট আইনজীবী এবং সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে ওইআইনের উপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ তাতে রাজি না হলেও আপাতত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রকে নোটিশ দিয়েছে।
জানা গেছে, আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, উত্তরপ্রদেশে ও উত্তরাখণ্ডে যে ধর্মান্তর বিরোধী বিল পাস করা হয়েছে তা বৃহত্তর সমাজের পরিপন্থী। একইসঙ্গে সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর কুঠারাঘাত। এছাড়া এই পথে চলেছে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, হরিয়ানা এবং অসমের মতো রাজ্যও। ফলে ‘লাভ জিহাদ’ আইন প্রণয়নের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জরুরি। তারই শুনানির ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর লাভ জিহাদ রুখতে উত্তরপ্রদেশে অর্ডিন্যান্স জারি করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তারপর থেকে মূলত মুসলিমদের উপর এই আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
সুপ্রিম কোর্টে তিস্তা শীতলাবাদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সিইউ সিং। তিনি অবিযোগ করেন, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই আইন ব্যবহার করে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট রায় প্রাপ্তয়স্কের পছন্দের বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ধরনের আইন বেশ কয়েকটি রাজ্যে চালু করায় তার উপর স্থগিতাদেশ চান সি ইউ সিং।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct