আপনজন ডেস্ক: ইংরেজি নববর্ষের শুরুতে চিনে সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিং। হংকংয়ের এক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এ সোমবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে চিনের প্রেসিডেন্ট কোনও দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেচেন তার দেশের সেনাবাহিনীকে তা স্পষ্ট নয়। যদিও চিনা প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশ ঘিরে ফের ভারত-চিন সীমান্তে ফের উত্তেজনার ঢেউ উঠতে পারে। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরে চিনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতের মতবিরোধ চলছে। বিশেষত লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আসার বারে বারে অভিযোগ করে আসছে ভারত্। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার চিন ও ভারতীয় সেনা অফিসারদের মধ্যে বৈঠক হলেও সুরাহা হয়নি।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, জিনপিং তার দেশের বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শি জিনপিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। প্রস্তুত থাকুন'। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সেনাবাহিনী নিত্যনতুন অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণের আদব কায়দাও বদলের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে বিভিন্ন বাহিনীকে একসঙ্গে ট্রেনিং করতে হবে বলে জানিয়েছেন জিনপিং।
জিনপিং শুধু সে দেশের প্রেসিডেন্ট বা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নন, ২০১২ সাল থেকে চীনা সেনা বাহিনীর কম্যান্ডার-ইন-চিফও। সেই সময় থেকেই সেনাবাহিনীর যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির উপর জোর দিয়েছেন জিনপিং। উপরন্তু ২০২০ সালের মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। গালওয়ানে দু’দেশের জওয়ানদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। চিনা সেনাদের হাতে ২০জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। তার পর একাধিকবার ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরনোর অভিযোগ উঠেছে চিনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা প্রতিহত হয়েছে তারা। সেটা হয়তো বাল চোখে দেখছে না চিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct