মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা: বাংলা জুড়ে যেন দল বদলের হিড়িক উঠেছে। রাজ্য স্তর থেকে শুরু করে ব্লক স্তর পর্যন্ত, কখনও কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আবার কখনো কেউ বিজেপি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। এবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে শিবসেনা ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন গত লোকসভা ভোটে উত্তর মালদা কেন্দ্রের শিবসেনা প্রার্থী অর্জুন কেশরী। যিনি আবার দীর্ঘ ১০ বছর বিজেপির সাথে যুক্ত ছিলেন। গত বুধবার মালদহে যুব তৃণমূলের মহামিছিলে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস এবং মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকে তুলসীহাটার যুব তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয়ে তাকে সম্বর্ধনা জানিয়ে দলে স্বাগত জানান মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমান। সংগঠন মজবুতির উদ্দেশ্যেই এই যোগদান বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই যোগদান আগামী বিধানসভা ভোটে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি করবে বলে দাবি করে তৃণমূল। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি রুখতেই এই যোগদান বলে জানান অর্জুন কেশরী।
বুলবুল খান বলেন, "অর্জুন গত লোকসভা ভোটে শিবসেনার প্রার্থী ছিলেন। মালদার মহা মিছিলে উনি তৃণমূলে যোগদান করেন।আজ স্থানীয় ভাবে ব্লকে যুব তৃণমূলের প্রধান কার্য্যালয়ে আমরা উনাকে স্বাগত জানালাম।"
তৃণমূলে যোগ দিয়ে অর্জুন কেশরী বলেন, "এখানে শিবসেনার তেমন কোনো শক্তি নেই। তাই বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভাজনের রাজনীতি রুখতে তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে আমার আস্থা রয়েছে। টাকার লোভে দল করি না।নিজে টাকা খরচ করে শিবসেনার হয়ে লড়েছি। তার আগে ১০ বছর বিজেপিতে ছিলাম।"
ভোট যত আসছে বাংলার রাজনীতি তত সরগরম হয়ে উঠছে। বিজেপি এবং তৃণমূল দুই পক্ষই মরিয়া বাংলা জয়ের জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct