আপনজন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের কপালে একের পর এক দুর্ভোগ নেমে আসছে। এবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমা করা নিয়ে ঘুষ নেওয়া নিয়ে আগস্ট থেকেই আলোড়ন শুরু হয়েছিল আমেরিকায়। মঙ্গলবার এ নিয়ে তদন্তও শুরু করে দিল আমেরিকান বিচার বিভাগ। এদিকে, করোনা-আবহে শুধু আমেরিকানদের জন্যই চাকরির বাজার সংরক্ষিত রাখতে এইচ-১বি ভিসায় বেশ কয়েকটি অন্তর্বর্তী নির্দেশিকায় সই করেছিলেন ট্রাম্প। তার মধ্যে দু’টি বাতিল ঘোষণা করলেন ক্যালিফর্নিয়ার ডিস্ট্রিক্ট জাজ জেফরি হোয়াইট। এই তদন্ত শুরুর অনুমতি দিতে গিয়ে ডিস্ট্রিক্ট জাজ বেরিল হাওয়েল ১৮ পাতার একটি নির্দেশিকা-নথিও উপস্থাপণ করেছেন। তবে এর যে-সংস্করণটি ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে, তাতে প্রায় কিছুই পড়া যায় না। অভিযুক্তের নাম কিংবা অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য সবই ঢেকে রাখা। তবু ঘুরেফিরে নিশানায় ট্রাম্পই।
সম্প্রতি নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৬-র ভোটে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে এফবিআই-এর কাছে মিথ্যে সাক্ষ্য দেয়ার দায়ে যাকে বরাখাস্ত করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, হাওয়েলের নথিতে এই বিষয়টিকে ‘ঘুষের বিনিময়ে ক্ষমা আদায়’ বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। আমেরিকান সংবিধান অনুযায়ী, ফেডারেল আইনে দোষী সাব্যস্তদের ক্ষমা বা শাস্তি মকুফের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের হাতে। কিন্তু অভিযোগ, ট্রাম্প আমলে কিছু ক্ষেত্রে এর যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য গোটা ব্যাপারটাই ভিত্তিহীন এবং ভুয়া বলে সরব হয়েছেন টুইটারে। সরাসরি তার নাম না এলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে আবারও বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct