আপনজন ডেস্ক : ছিল সমর্থনের বার্তা ! ছিল উঠে দাঁড়ানোর জেদও ! ছিল দীর্ঘ পনেরোদিন যাবৎ জনমুখী প্রচারও ! আর তার ফলস্বরূপ অনেকটাই সফল তাঁরা । কেন্দ্রীয় সরকারের নানা নীতির বিরুদ্ধে ২৬ নভেম্বর বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে দশ দফা দাবিতে বনধের হাওড়া জেলায় তাঁরা স্টার না পেলেও লেটার মার্কস পেয়েছেন তা বলা যেতেই পারে। হাওড়ার শহরের ক্লান্ত বিকেল এমনটাই দাবি করছে । মোটকথা বাম শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল হাওড়ায় । কোথাও দোকানপাট ভালই বন্ধ তো কোথাও মোটামুটি সব কিছু খোলা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বনধের জন্য হাওড়া ব্রিজ ছিল প্রায় শুনসান। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু যানবাহন চলাচল করেছে। এদিন সকাল ন টার পর হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড সমস্ত ট্যাক্সি উধাও হয়ে যায় । সেখানে যাত্রী সংখ্যা ছিল হাতে গোনা মাত্র । বালিহল্ট , ডোমজুড় , বিরশিবপুর ও কুলগাছিয়া স্টেশনের মাঝখানে বনধ এর সমর্থকরা ট্রেন অবরোধ করেন। ফলে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশি সক্রিয়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাওড়া শহরের বালিহল্টে দু নম্বর জাতীয় সড়কে, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বনধের সমর্থকরা দফায় দফায় পথ অবরোধ করেন। তার ফলে তীব্র যানজট হয় রাস্তায় । পুলিশের সঙ্গে তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বনধের সমর্থকরা হাওড়ার ডোমজুড়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করেন। ধর্মঘট না মানায় বেলুড় মঠের সামনে অটোচালকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বনধের সমর্থকরা । হাওড়ার চেঙ্গাইলের ল্যাডলো মিল গেটের সামনে বাম ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীরা বনধের সমর্থনে মিছিল ও শ্লোগান দিতে থাকে। সেখানে বনধের বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকরাও শ্লোগান দিতে থাকেন ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct