আপনজন ডেস্ক: গত চার বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে, তাদের জীবন এখনও খুবই সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। এ ব্যাপারে শনিবার ইসলামিক মাদ্রাসা মডার্নাইজেশন টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (আইএমএএসএস) এর জাতীয় সভাপতি আইয়াজ আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্প এসপিইএমএম-এর অধীনে কর্মরত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র ২০১৬-১৭ বর্ষে মাত্র ছ মাসের জন্য বেতন দেওয়া হয়েছিল। এরপরে, কেন্দ্রীয় সরকার এই নভেম্বরে মাত্র দুই মাসের জন্য বেতন বরাদ্দ করেছে।
উল্লেখ্য, এসপিইএমএম-এর অধীনে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ৮৫০০ মাদ্রাসায় ২৫০০ শিক্ষক কর্মরত।
২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্য সরকার তাদের অংশ হিসেবে এই শিক্ষকদের ৪০শতাংশ বেতন ধারাবাহিকভাবে দিয়ে চলেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৮ সালের পর থেকে শিক্ষকদের অবশিষ্ট বেতন দিচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট হ্রাস। ২০১৫-১৬ বর্ষে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩৭৫ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ বর্ষে তা কমিয়ে ১২০ কোটি করা হয়। ২০২০-২১ বর্ষে ১০০ কোটি বাড়ানো হয়।
বরাদ্দ না থাকায় উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। ফলে আরিইথক দুরবস্থার জন্য কিছু শিক্ষক আত্মহত্যাও করে। এখর এই শিক্ষকদের আর্থিক অবস্থা অারও করুণ। এই শিক্ষকদের বেশিরভাগই স্নাতকোত্তর এবং বিএড ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তারা টেট উত্তীর্ণ। এদের কেউ কেউ জীবন নির্বাহের জন্য রাজে রিকশা টানার কাজও করছেন বলে জানা আইয়াজ আহমেদ। আর লকডাউনের সময় সেই আয়ের উৎসও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি জানান, তারা দিল্লির যন্তরমন্তরে একাধিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরেই যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ সভা করেছিলেন। প্রাক্তন ও বর্তমান মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর মধ্যে স্মৃতি ইরানী, প্রকাশ জাভাদেকার এবং রমেশ পোখরিয়ালের সাথে দেখা করেছেন। কিন্তু সরকার তাদের সমস্যায় কোনও নজর দেয়নি। সর্বশেষ
মুহাম্মদ ফাহিম, যিনি মুরাদাবাদের একটি মাদ্রাসায় পড়ান, তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে বেতনও পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। আর বাজারে বেড-শিট বিক্রি করে সংসার নির্বাহ করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct