আপনজন ডেস্ক: তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ সহযোগীতায় যুদ্ধবিরোতি চুক্তিতে সই করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আর এই যুদ্ধবিরতি তদারকি করবেন তুরস্ক ও রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি জানিয়েছেন, ‘যৌথ কেন্দ্র’ গঠনের মাধ্যমে তুরস্ক রাশিয়ার সাথে একত্রে নজরদারি ও তদারকি করবে। আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে থেকে আজারবাইজান দ্বারা নির্ধারিত কোন স্থান থেকে এটি পরিচালিত হবে। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন এরদোগান।
বুধবার থেকে গোটা এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী শক্তি হিসেবে সেখানে অবস্থান করছে রাশিয়ার সেনা। আর্মেনিয়া, আজারবাইজান চুক্তিতেই বলা হয়, আপাতত গোটা এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে রাশিয়ার সেনা বাহিনী। তাদের পাশাপাশি তুরস্কও ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তিতে আসলে লাভ হয়েছে আজারবাইজানের। ঠিক হয়েছে, সাম্প্রতিক যুদ্ধে যে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সে সেখানেই থাকবে। আজারবাইজান শেষ কিছু দিনে নাগরনো-কারাবাখের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি দখল করে ফেলেছে। রাজধানী লাগোয়া শুশা এখন তাদের দখলে। ফলে চুক্তিতে তাদেরই লাভ হয়েছে বেশি। এছাড়াও চুক্তিতে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে আর্মেনিয়া নাগরনো-কারাবাখের জমি ছেড়ে দেবে। তবে আর্মেনিয়ায় এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সরকারি অফিসের সামনে জনগণ লাগাতার আন্দোলন করছে। চুক্তি ভেঙে ফের আক্রমণের কথাও বলছেন অনেকে।