আপনজন ডেস্ক: করোনা আবহের মধ্যে আমফান দুর্ভোগ সুন্দরবনের মানুষদের প্রবল কষ্টের মধ্যে ফেলেছিল। কারণ, বহু জায়গায় নদীবাঁধে ফাটল ধরে, াাবার কোথায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়। সেই দুর্ভোগের স্মৃতি কাটতে না কাটতেই পূর্ণিমার ভরা কোটালের আগেই নদীবাঁধে ধস নামর সুন্দরবনে। বাসন্তী ব্লকের হোগল নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর পলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাদের আর এক আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নদী বাঁধে ফাটল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সাত সকালে বাসন্তী ব্লকের সজিনাতলা এলাকায় হোগল নদীর উপর প্রায় ৩০০ ফুট নদী বাঁধে ধস নামে। গ্রামবাসী তা দেখতে পেয়ে আতঙ্কের মধ্যে পড়েন। কারণ, এই বাঁধ ভেঙে গেলে আমফানের মতো ফের প্লাবিত হয়ে উঠতে পারে আশেপাশের এলাকা। যেভাবে বরা কোটেল জলের প্রবল জলোচ্ছ্বাস তাতে যে কোনও সময় নদীর লবণাক্ত জল বেড়ে গিয়ে ঢুকে পড়তে পারে বাঁধের লাগোয়া খাঁ পাড়া, অফিস পাড়া, গাজি পাড়া এলাকা।
আর যদিও একবার জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসের ফলে এই লবণাক্ত জল ঢুকে পড়ে তাহলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বাড়িঘর, ধানচাষের জমি ও পুকুরের মাছ। উপায় না দেখে তাই নিজেদের বাঁচার তাগিদে নিজেরাই বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগান গ্রামবাসীরা। যদিও তারা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত খবর পৌঁছে দেন বাসন্তীর সেচ দফতরে।
এ ব্যপারে বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস মণ্ডল বলেন, কোটালের ফলে নদীতে জল বেড়ে গেছে। হোগল নদীর বাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট ধস নেমেছে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। তার আশঙ্কা পূর্ণিমার ভরা কোটাল থাকায় তাই নদীর জল বাড়লে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম। আয়লা আর আমফানেরস্মৃতি তাদেরকে এখন তাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct