আপনজন ডেস্ক: খাদ্যভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলসেদেশের পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বৈঠকে নৌযান শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারকরা হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।এদিন সন্ধ্যায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌযান শ্রমিক-মালিকদের সঙ্গে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বৈঠকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, বৈঠকে শ্রমিকদের খাদ্যভাতা (খোরপোশ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছোট নৌযানের জন্য ১০০০ টাকা, ১০০০-১৫০০ টনের নৌযানের জন্য ১২০০ টাকা এবং ১৫০০ টনের বেশি ওজনের নৌযানের জন্য ১৫০০ হাজার টাকা খাদ্যভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
এর আগে বাংলাদেশের নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘নৌ-শ্রমিকদের মূল দাবি খোরাকি ভাতা; অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। ভাতাটা ন্যায্য। এর আগেও শ্রমিকরা ধর্মঘটে গিয়েছিল। আলোচনা করে সমাধান করেছি। শ্রমিকরা অসহায়। তারা শ্রম দিয়ে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে। মালিক-শ্রমিকদের সম্পর্ক থাকবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও হৃদ্যতাপূর্ণ।’
উল্লেখ্র, ১১ দফা দাবি আদায়ে গত ২০ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হয়। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন আটটি সংগঠন এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct