আপনজন ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি দাঙ্গায় ৫৭ জনের মৃত্যু হলেও কয়েকশ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রযেছেন বুলেট বিদ্ধরা। এরকম একজন বুলেট বিদ্ধ হওয়া ব্যক্তিকে সরকারি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হল মাত্র ২০ হাজার টাকা। এর কারণ হিসেবে সরকারিভাবে বলা হয়েছে ওই বুলেট বিদ্ধ হওয়ার ঘটনা একটা সামান্য ব্যাপার।
এই ঘটনা সামনে এসেছ যখণ দিল্লি দাঙ্গায় গুলিবিদ্ধ ৪২ বছর বয়সি সওকাত আলিকে দিল্লি সরকারের তরফে দাঙ্গার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সওকাত আলি এ ব্যাপারে ইংরেজি সাময়িকী আউটলুক পত্রিকার সাংবাদিককে জানান, দাঙ্গার সময় বুলেট হয়েছিলেন। কিন্তু লোকাল অ্যানেস্থাশিয়ার করার সামগ্রী না মেলায় চিকিৎসকরা ক্ষতস্থানে হাত ঢুকিয়ে বুলেট বের করেছিলেন। সেই সময় মনে হয়েছিল যেন মরেই গেছি। তা্কেই সামান্য আঘাত বলায় বিস্মিত সওকাত।
সওকাত বলেন, তিনি অনুনয় বিনয় করেছিলেন সরকারের কাছে যাতে ক্ষতিপূরণ ২০ হাজার টাকা নয়, অন্তত ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার দাবি মানা হয়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যমুনা বিহারের মহকুমা শাসক বলেট বিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে সামান্য আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। তাই সরকার ২০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে চায়নি।
শওকাত জানান, তার পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে তিনিই একমাত্র আয়ের উৎস। বাড়িতে বাবা, স্ত্রী ও তিন শিশু রয়েছে। ওল্ড মুস্তাফাবাদের বাবু নগরের বাসিন্দা সওকাত জানান. ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির কিছু জিনিস কেনার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটু দূরত্ব থেকে একজন তার ঊরুতে গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে চৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন।
সওকাত আরও জানান, জ্ঞান ফেরার পর দেখি আল হিন্দ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। ঊরুর ক্ষত দেখে চিকিৎসক পরামর্শ দেন অন্য বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ২৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাম্বুলেন্সে করে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এখন সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠে পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে যেখানে কাজ করতেন সেখানে যাচ্ছেন সওকাত আলি। কিন্তু সেই বেসরকারি কোম্পানি জানিয়ে দিয়েছে পায়ের ক্ষতের জন্য আগে যা বেতন পেতেন তার অর্ধেক পাবেন। কারণ, আগের মতো আর কাজ করার ক্ষমতা আর থাকবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct