আপনজন ডেস্ক: নানাবিধ সমস্যার মধ্যে দাঁতের গর্ত হওয়া একটি রোগ। এমনটি হলে সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন।নইলে আপনার দাঁত খুব কম সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাবে।দাঁতের গর্তে কখন রুট ক্যানেল করাবেন আর কখন ফিলিং করা লাগবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের লাইন চিকিৎসকরা।দাঁতের যে অংশটি আমরা দেখতে পাই, সেটি শরীরের সবচেয়ে শক্ত সাদা বর্ণের এনামেল নামক স্তর দিয়ে আবৃত। এর পরের হলুদভাব স্তরটি ডেন্টিন আর সর্ব ভেতরের স্তরটি দাঁতের প্রাণ বা মজ্জা। মাড়ির ও চোয়ালের হাড়ের মধ্যকার দাঁতের শিকড়ের বাইরের স্তরটি সিমেন্টাম নামক পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে আর ভেতরের বাকি দুটি স্তর একই। দাঁতের ক্ষয় যখন প্রথম দুটি স্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তখন ফিলিংয়ের মাধ্যমেই দাঁত কে স্বাভাবিক রাখা যায়। এনামেল ক্ষয় হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতে তেমন কোনো অস্বাভাবিকতা অনুভব হয় না, ডেন্টিন ছুঁয়ে গেলে দাঁত শিনশিন করতে পারে। উদাসীনতার কারণে দাঁতের গর্তের গভীরতা যখন মধ্যকার মজ্জাতে যায় তখন অনেক ব্যথার সৃষ্টি করে, তখন আক্রান্ত দাঁত রক্ষায় রুট ক্যানেল একটি কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা। বয়স্কদের ক্ষেত্রে শুষ্ক মুখ, রুট এবং করোনাল ক্যারিজ এবং পেরিওডন্টাইটিস দেখা যায়। বয়স্কদের মাড়ি রোগের ক্ষেত্রে মাড়ি গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ফোলা ও ব্যাথাযুক্ত মাড়ি থেকে সহজেই রক্তপাত হয়। বয়স্কদের মাড়ি মসৃণ, উজ্জ্বল এবং নাজুক অবস্থায় থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct