এম মেহেদী সানি,কলকাতা,আপনজন: অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে নতুন করে একাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফলাইনে পরীক্ষা নিতে চাইলে পরীক্ষা সূচি বদল করে পিছিয়ে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে সমস্ত বিভাগের অধ্যাপকরা যথাযথ ভাবে ক্লাস নিয়ে অসমাপ্ত সিলেবাস শেষ হওয়ার পর পরীক্ষার ব্যবস্থা করুক। শনিবার পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সন্মেলন ডাকা হয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকসার্কাস ক্যাম্পাসে। সাংবাদিক সম্মেলনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র ইরফান সাদিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে অনলাইনে অথবা ব্লেনডেড মোডে পরীক্ষা নিক। তবে একান্তই যদি তাঁরা অফলাইনে পরীক্ষা নিতে চান তাহলে পরীক্ষা আরও পিছিয়ে দিয়ে এবং নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে সিলেবাস ভালোভাবে শেষ করা হোক।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ২৭ তারিখ থেকে অফলাইনে পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে সিলেবাস শেষ না হওয়া, সঠিক ভাবে ক্লাস না হওয়া এবং প্রয়োজনীয় সময় না পাওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করে আসছে পড়ুয়ারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা অফলাইনে নেওয়ার পক্ষে অনড়। অন্দোলনরত ছাত্ররা জানিয়েছেন, অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে অনশনকারী দুই পড়ুয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এ বিষয়ে মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদক মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যদি একান্তই অফলাইনে পরীক্ষা নিতে চাই তবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক, অসম্পূর্ণ সিলেবাস সম্পূর্ণ করা হোক, সঠিক ভাবে ক্লাস করানো হোক।
তবে আমারা বুঝতে পারছি না অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাটা কেথায়।” সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আবু তাহের কামরুদ্দিন কে শনিবার রাত ৮:১৯ মিনিট-এ ফোন করা হলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো আবু তাহের কামরুদ্দিন নামাজ পড়তে গিয়েছেন ৯ নাগাদ ফিরবেন তখন ফোন করুন। পরবর্তীতে আবারো ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রথমবার ফোন কেটে দেন, দ্বিতীয় বার আবার ফোন করা হলে ফোন কেটে দিয়ে ম্যাসেজ করতে অনুরোধ করেন। কথা মতো আপনজন প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দিয়ে জানতে চাওয়া হয় ‘’আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্র-ছত্রীদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফলাইনে পরীক্ষা নিতে চাইলে, পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হোক এবং সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করা হোক এবং সমস্ত ক্লাস করানো হোক। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী...?’’ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও এ বিষয়ে উত্তর মেলেনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct