আপনজন ডেস্ক: আসছে বাংলা নববর্ষ। নতুন বছরে সবকিছুই নতুনভাবে দেখতে কার না ভালো লাগে! আর সেটা ঘরের সাজসজ্জা হলে তো কথাই নেই। ঘর সাজাতে সব সময়ই দামি জমকালো জিনিস লাগবে, তেমন কিন্তু নয়। ছিমছাম আসবাব আর হালকা উপকরণ ব্যবহারে অন্দরের সাজ হয়ে উঠতে পারে অনন্য। প্রয়োজন একটু বুদ্ধি খাটানো আর সৃজনশীলতার। নতুন বছরে নতুন রং ঘর সজ্জার একটি অন্যতম উপাদান হলো ঘরের রং। ঘরের ঠিকঠাক রং কিন্তু মনকে শান্ত করে। আবার মনের ওপর চাপও কমায়। তবে ঘরে ভুল রং ব্যবহারে হিতে বিপরীত হবে। ঘরে ঢুকুক প্রাকৃতিক আলো-বাতাস অন্দরে কৃত্রিম সৌন্দর্য তৈরি না করে বরং প্রকৃতিকে কীভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা ভাবুন। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারের বিকল্প নেই। মনের আনন্দ বাড়াতে পারে উজ্জ্বল আলো। সে ক্ষেত্রে ঘরে প্রবেশ করতে দিন সূর্যের জ্বলজ্বলে আলো। দেখবেন মেজাজ থাকবে ফুরফুরে। উপাদান হোক প্রাকৃতিক মনের ও ঘরের সতেজতা ও প্রফুল্লতা ধরে রাখতে বেশি বেশি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। ইনডোর প্ল্যান্ট সে ক্ষেত্রে ভালো সংযোজন। এতে ঘরে আসবে সবুজের ছোঁয়া। গাছের অক্সিজেন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
অতিরিক্ত আসবাব সরিয়ে নিন ছিমছাম ভাব ধরে রাখতে অল্প আসবাবে সাজাতে হবে ঘর। ভারী সব আসবাবে ঠাসা ঘরে প্রশান্তি পাওয়া যাবে না। ঘরের জায়গা বুঝে আসবাব সরিয়ে নিন। চোখে আরাম লাগবে। আসবাব এমনভাবে রাখতে হবে যেন ঘরের জায়গা নষ্ট না করে। শিল্পকর্মের ব্যবহারে প্রকাশ পায় রুচি ঘর নানা রকম শিল্পকর্ম দিয়ে সাজালেও মনে প্রশান্তি আসে। ঘর সাজাতে চিত্রকর্ম ছাড়াও মৃৎশিল্প, সিরামিক, ভাস্কর্য, কাচের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পারেন। মনের চাপ কমাতে আর্ট বা শিল্প উপভোগ জনপ্রিয় উপায়। মানুষের মস্তিষ্ক রং আর নকশার সংস্পর্শে এলে খুব দ্রুত চাপ মুক্ত হয়। তাই ঘরে আর্ট বা শিল্প এনে দিতে পারে ইতিবাচক একটি পরিবেশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct