নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁচল,আপনজন: প্যাডেল চালিত রিকশা চালকদের মন কাড়লেন শাসকদলের বিধায়ক। রিকশা চালকদের জীবিকা নির্বাহ কতটা কষ্টকর? নিজেই রিকশা চালিয়ে ও প্যাডেল মেরে সেই অনুভূতি জানালো বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। আজ সকালে বিধায়কের তরফে চাঁচল শহরের রিকশাচালকদের বাঁকা হয়। তাদের আনা হয় চাঁচলের বিধায়কের বাসভবন শিশির কলোনিতে।রিকশা চালকদের সাথে চা-চক্রে বসেন বিধায়ক।তাদের দুর্দশার কথাও শোনেন তিনি।
চালকদের কথায় জানা গেল,একসময় তাদের উপার্জন বেশ ভালোই চলত। বাজারে টোটো অর্থাৎ ই-রিকশা আসার পর উপার্জনে ভাঁটা পড়েছে তাদের। আগে চাঁচল শহরে শতাধিক প্যাডেল চালিতে রিকশা ছিল।আয়ের হ্রাসে আর কেউ রিকশা চালায় না।হাতেগোনা একডজন রিকশা শহরের এককোনে এখন যাত্রীর অপেক্ষায় মুখ উচিয়ে থাকে।এক থেকে দেড়শো টাকা কোনোক্রমে উপার্জন হয়। রেশনে যা পায় তা মিলিয়ে কোনোক্রমে দিনযাপন চলছে। গোটা ঘটনা শোনার পর বিধায়ক তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন নিজ হাতে রিকশা চালকদের শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল তুলে দেন। আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে এদিন বিধায়কের তরফে। সবশেষে রিকশাওয়ালাদের বিদায়ের আগে এক চালকের রিকশা নিয়ে নিজেই প্যাডেল মেরে চালাতে থাকেন বিধায়ক। সেই দৃশ্য নজর কেড়েছে শহরবাসীর। মন কাড়লেন রিকশা চালকদেরও। বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ডিজিটাল জমানায় তারাও আজও আকড়ে রেখেছে পেশা। তাদের কুর্নিশ জানায়। রিকশায় প্যাডেল মেরে অনুভূতি হল,তাদের জীবনটা কত কষ্টের। আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। এভাবেই তৃণমূল বিধায়ক রিকশাচালকদের মন জয় করারা চেষ্টা করলেন পুরভোটের আগে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct