সজিবুল ইসলাম,ডোমকল,আপনজন: করোনা মহামারিতে ধ্বংস করেছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা, করোনা বিধিনিষেধ হওয়ায় বন্ধ হয়েছে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসার, কাজ হারিয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক, বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন দোকান পাট থেকে কারখানা, ঠিক এমনই চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের ডোমকল ব্লকের ফতেপুরে গ্রামে। ডোমকলের ফতেপুর তাঁতশিল্পের জন্য বেশি পরিচিত এলাকা ,এখানে বিশেষ করে একাধিক রকমের গামছা তৈরি হয়।
এমনকি এই গামছা জেলা তথা রাজ্যের সঙ্গে দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয়।
আর সেই ব্যবসার গতি আনতে হাতে গামছা তৈরি ছেড়ে ম্যাশিনে তৈরির কাজ শুরু করেন। এই কারখানায় গ্রামের মহিলারাও কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।তার ফলে কিছুটা হলেও সংসারের হাল ধরতে পেরেছে বলে জানাচ্ছেন মহিলা শ্রমিকরা।
অন্য এক মহিলা শ্রমিক বলেন কাজ স্থায়ী নয় তবে মাস গেলে যে অর্থ পায় তাতেই দিব্যি চলে যায় সংসার। কিন্তু করোনা কালে দিনের পর দিন সুতোর দাম বাড়লেও বাড়েনি গামছার দাম।তার রেশ পড়ছে তাতশিল্পের উপর,যদি এই কারখানা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সংসার চালাতে অনেক টায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।
কারখানার মালিক মাকসুদাল ইসলাম জানাচ্ছেন করোনা প্রতিরোধে রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি বিধি নিষেধ তার জন্য কারখানা চালাতে বেড়েছে খরচ। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে না পারায় বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি সামনে চলে আসছে। তিনি আরো বলেন ফতেপুর গ্রামে আমার এই কারখানাটি পঞ্চাশ জন শ্রমিকের সাহায্য প্রায় চার বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছি।যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই শ্রমিক গুলো কাজ হারাবে সেই বিষয়ে অনেক চিন্তা হচ্ছে।
সরকারে কাছে আবেদন হয় সুতোর দাম কমানো হক, বা সরকারি ভাবে গামছা কেনার ব্যবস্থা করা হোক,তাহলে হয়তো কারখানা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
তবে গত দু’বছর আগে মহামারী করোনার ফলে সেই চিত্র পাল্টে দেয়। তাঁত শিল্প চালাতে গেলে যার প্রধান দরকার সেই সুতোর দাম বেড়ে চলেছে হুড় হুড় করে অথচ গামছার দাম একই রয়েছে কয়েক বছর ধরে। যার জন্য কারখানা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানা বন্ধ হওয়ার ভয়ে ভেঙ্গে পড়েছে শ্রমিকদের একাংশ কেননা মহামারি করোনা কালে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন সময় কিছুটা অর্থের যোগান হচ্ছে আর সেই কাজ হারালে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। সরকার যদি কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে এইরকম অনেক তাঁতশিল্প বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল,আর সেই রেশ এসে পৌঁছবে শ্রমিক পরিবারে,দিন কাটবে অনাহারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct