শুভ বিশ্বাস, নামখানা: জাওয়াদ’-এর প্রভাবে সুন্দরবন ও উপকূল এলাকায় শনিবার থেকেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার সকালেও উপকূলের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও। রাতভর বৃষ্টির ফলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হলেও ‘জাওয়াদ’-এর জন্য বড়সড় বিপর্যয় ঘটেনি সুন্দরবনে। তবে নামখানার প্রত্যন্ত মৌসুনি দ্বীপে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তৃর্ণ এলাকা।
শনিবার রাতে মৌসুনি দ্বীপের চিনাই নদীর বেহাল মাটির বাঁধের প্রায় ১০০ ফুটের মত ভেঙে যায়। বৃষ্টির জেরে বাঁধের মাটি নরম হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে দাবি স্থানীয়দের। নোনাজলে প্লাবিত হয়েছে বালিয়াড়া সহ ৫ ঘেরির বিঘের পর বিঘে চাষজমি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইয়াসের সময়ই চিনাই নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর সাময়িক ভাবে বাঁধ মেরামত করা হলেও তা আগের থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর এই বৃষ্টিতে নদী বাঁধ ফের ক্ষতিগ্রস্ত হল। ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর নির্দেশে বাঁধ মেরামতিতে উদ্যোগ নিয়েছে সেচ দফতর। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, ‘বালিয়াড়ার বাঁধ ভাঙার খবর পেয়েছি। সেচ দফতরকে দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির উপর নজর রেখেছি। তবে কোন ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, কিছু জায়গায় বাঁধ উপচে জল ঢুকতে শুরু করেছে। কিন্তু, সেসব জায়গায় বসতি নেই। বিচের বেশ কিছুটা অংশ ডুবে গিয়েছে। বাঁধ উপচে ৫০ মিটার এলাকায় জল ঢুকেছে। কিন্তু, আজ ভরা কোটালের প্রভাব অনেকটা কমেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct