আপনজন ডেস্ক: বাবরি মসজিদের বর্ষপূর্তির দিন যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়তার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরা শহর। এ ব্যাপারে
মথুরার প্রশাসন জানিয়েছে, চারটি দক্ষিণপন্থী দল, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি নির্মাণ ন্যাস, নারায়ণী সেনা এবং শ্রীকৃষ্ণ মুক্তি দল এর আগে এ দিন “মহা জল অভিষেক” কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু অনুমতি না দিয়ে মথুরা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল, সেই ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মথুরায় নিরাপত্তা তাই জোরদার করা হয়েছে।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা দেবতার “প্রকৃত জন্মস্থান” দাবি করে মসজিদের মধ্যে একটি কৃষ্ণ মূর্তি স্থাপনের অনুমতি চেয়েছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নবনীত সিং চাহাল তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এ ধরনের ানুমতি দানে শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। তাই তাদেরকে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
এদিকে একটি দক্ষিণ পন্থী দল বলেছিল, তারা জায়গাটি “বিশুদ্ধ” করার জন্য “মহা জল অভিষেকের” পরে শাহি ইদগাহে মূর্তিটি স্থাপন করবে। এগুলির পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র পুলিশ সুপার গৌরব গ্রোভার বলেন, মথুরার নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়, কর্মকর্তারা বলেন, যে এলাকায় কাটরা কেশব দেব মন্দির এবং শাহি ঈদগাহ জলছত্র রয়েছে তাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন সর্বোচ্চ।
মথুরার প্রতিটি প্রবেশকেন্দ্রে পর্যাপ্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশ পথগুলিতে পরীক্ষা জোরদার করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এর ফলে একসঙ্গে চারজন বা তার বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শাহী ঈদগাহের অভ্যন্তরে এই আচার পালনের হুমকি এমন এক সময়ে এসেছে যখন স্থানীয় আদালত সপ্তদশ শতাব্দীর মসজিদটি “অপসারণ” চেয়ে বেশ কয়েকটি আবেদনের শুনানি করছে।
শাহি ইদগাহ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জেড হাসান অবশ্য বলেছেন যে তিনি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মথুরায় বসবাস করছেন এবং সবসময় পরিবেশকে সৌহার্দ্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন। মসজিদের কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, মসজিদ স্থানান্তরের জন্য মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং তাদের রায়কে সম্মান জানানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct