আপনজন ডেস্ক: দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ প্রকল্প কেন্দ্রীয় ভিস্তা ২০২২ সালের অক্টোবরে শেষ হবে বলে জাাননো হয়েছে সংসদে। কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রক বৃহস্পতিবার সংসদে জানিয়েছে, বহুপর্যায়ের কেন্দ্রীয় ভিস্তা পুনর্বিকাশ প্রকল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত ১,২৮৯ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে নতুন ভবনের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ হয়েছে। অক্টোবর ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা এবং এর জন্য বরাদ্দ ৯৭১ কোটি টাকার মধ্যে ৩৪০ কোটি টাকা এখন পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে।
এই প্রকল্প রূপায়ণ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ভিস্তা এলাকায় থাকা ঐতিহ্যবাহী পাঁচটি মসজিদের কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে মসজিদগুলোর অস্তিত্ব বজায় রাখার দাবিতে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, লুটিয়েন্স এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলি কেন্দ্রীয় ভিস্তা পুনর্বিকাশ প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত নাও হতে পারে। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের পাঁচটি ঐতিহ্যময় মসজিদের সুরক্সা চেয়ে মামলা করে। সেই মসজিদগুলি হল, মসজিদ জবতা গঞ্জ, জামা মসজিদ নয়াদিল্লি, মসজিদ সুনেইহরি বাগ, মাজার সুনেইহরি বাগ, মসজিদ কৃষি ভবন এবং মসজিদ ভাইস প্রেসিডেন্ট হাউস। আবেদনে আরও বলা হয়, এই পাঁচটি মসজিদ সহ ছয়টি ধর্মীয় স্থান ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এ ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের মত চেয়েছিল।
তবে, মামলাটির শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের গঠিত বেঞ্চে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে জানান, কেন্দ্রয়ি ভিস্তা প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি। তবে, এখনও তার বাস্তবায়নের কাছাকাছি পৌঁছনো যায়নি। এখনই মসজিদ নিয়ে কোনও কিছু ক্ষতি হচ্ছে না। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের প্রতিনিধিত্বকারী প্রবীণ আইনজীবী আনন্দ ঘোষ দাবি করেন, মৌখিক বিবৃতিটি আদালত রেকর্ড করতে হবে। তবে মেহতা বলেন, তার উপর বিশ্বাস না করলে এই সংবেদনশীল বিষয় রেকর্ড করা যাবে না। আদালত ২০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড বলেছে, ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়বস্তু উপাসনার স্থান হওয়ায় অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মূল্য রয়েছে এবং এই ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির ভবিষ্যতের বিষয়ে সন্দেহ দূর করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: