নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা: আপনজন: শ্রমিক সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (ফিটু) ‘মোদি এবার গদি ছাড়ো’ শিরোনামে এক মাস ব্যাপী সারা দেশ জুড়ে শ্রমিক বিক্ষোভের ডাক দেয় (১লা-৩১শে ডিসেম্বর)। সে উপলক্ষে রাজ্যে তার সূচনার কথা ঘোষণা করা হল কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিটু-র রাজ্য সভাপতি সেখ মোজাফফার, রাজ্য সম্পাদক মহিনুর জামান, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাক্তার মানোয়ারা বেগম, গোলাম রহমান জাঁতুয়া, ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ ও শাহাজাদী পারভীন সহ অন্যান্যরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমগ্র দেশের উন্নয়ন সর্পিল গতিতে নিম্নমুখী হয়েছে। যে বড় বড় প্রতিশ্রুতিগুলো তাকে ক্ষমতায় এনেছিল তা পূরণ করতে না পারার কারণে মোদি বর্তমানে একটি শোচনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছেন । সরকার দেশকে ধীরে ধীরে কর্পোরেট হাউসের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে এবং পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলোকে বেসরকারীকরণের একটা মাদকতা চলছে । নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা মাঝে মাঝে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে । এমতবস্থায়, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং ফ্যাসিবাদী বিজেপি শাসনের ব্যর্থতা সম্পর্কে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী একটি ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এই প্রচারাভিযানের অন্যতম দাবিগুলো হল: কোন ব্যক্তি ধর্মঘটে যাওয়ার ৬০ দিন আগে বা নোটিশ জমা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা মীমাংসা বা ট্রাইব্যুনালের কার্যধারার মুলতুবি থাকাকালীন ও কার্যধারার শেষ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পূর্ব নোটিশ না দিয়ে চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ধর্মঘট বা লক-আউটে যাবেন না। স্থায়ী আদেশের সীমারেখা এখন বাড়ানো হয়েছে এবং ৩০০ জন শ্রমিক সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্যই তা প্রযোজ্য হবে ৷
শ্রমিক সংগঠন ফিটু কর্কতাদের বক্তব্য, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি বলেছিল যে, তারা ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর ২ কোটি লোকের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবে । কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতিগুলোও নির্বাচনী বাগড়ম্বরে পর্যবসিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। ভারতে বর্তমানে বেকারত্ব প্রতি বছর গড়ে ৯.১ হারে বেড়েছে। নোটবন্দী, অনিয়ন্ত্রিত জি.এস.টি. লাগু করা এবং করোনা লকডাউনের কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে । কাজ হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ । এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে ।ভারতের বর্তমান অবস্থা এমন যে, ফোর্ডের মতো সমস্ত বড় বিদেশী কোম্পানিরা ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছে । মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের মেয়াদ যদি আরও বৃদ্ধি হয়, তাহলে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বহুগুণ বাড়বে, কোনও মতেই কমবে না । তাই, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নফিটু দেশব্যাপি শ্রমজীবী মানুষের হয়ে জোরালো আওয়াজ তুলেছ ‘মোদি এবার গদি ছাড়ো।’
২. পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং পেট্রোপণ্যের উপর কর হ্রাস করতে হবে:-
• ডিজেলের জন্য ২০১৪ সালের এবং পেট্রোলের জন্য ২০১০ সালের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করতে হবে।
• পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত তাদের কর কমানো।
• পেট্রোলিয়াম পণ্যের উপর বিশ্বে ভারত হল সর্বোচ্চ কর সংগ্রাহক।
৩. রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পুনর্বহাল করতে হবে:-
• কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালের মে মাস থেকে সমস্ত ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছে।
• জানুয়ারী ২০১৫ এর গ্যাস ভর্তুকি পুনর্বহাল করতে হবে।
• রান্নার গ্যাসের জন্য DBTL প্রকল্প বাতিল করতে হবে।
• রান্নার গ্যাসের উপর রাজ্য সরকারের ট্যাক্স কমাতে হবে (বর্তমানে যা ৫৫%) ।
৪. সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠানগুলির বিক্রি বন্ধ করতে হবে:-
• ভারত বর্তমানে এমন একটি দেশে পরিণত হয়েছে যার নিজস্ব কোনও এয়ারলাইন্স নেই ।
• কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করে যে, সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টরগুলি ক্ষতির মধ্যে রয়েছে ৷ কিন্তু অনেক সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টরগুলিই (পি.এস.ইউ) লাভজনকভাবে চলছে । হয়তো কিছু P.S.U. সংকটের সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে । তাই সরকারকে অবশ্যই এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং PSU প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্যাগুলি সমাধান করা শুরু করতে হবে ।
• সরকারি সম্পদগুলিকে একে একে ব্যক্তিগত মালিকানার হাতে উৎসর্গ করে দিলে দেশের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য আরও তীব্র আকার নেবে ।
• সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টর সম্পত্তি নিলাম করার অর্থ হল, সরকারী দায়বদ্ধতা বেসরকারী মালিকানার কাঁধে অর্পণ করা ৷
• এটা কেবলমাত্র এই প্রদর্শিত করে যে, সরকার পরিষেবা ক্ষেত্রে নিজের হাত গুটিয়ে নিচ্ছে ।
২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি বলেছিল যে, তারা ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর ২ কোটি লোকের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবে । কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতিগুলোও নির্বাচনী বাগড়ম্বরে পর্যবসিত হয় ।প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি । শুধু তাই নয়, বেকারত্বে বর্তমানে ভারত ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । ভারতে বর্তমানে বেকারত্ব প্রতি বছর গড়ে ৯.১ হারে বেড়েছে । নোটবন্দী, অনিয়ন্ত্রিত জি.এস.টি. লাগু করা এবং করোনা লকডাউনের কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে । কাজ হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ । এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে ।ভারতের বর্তমান অবস্থা এমন যে, ফোর্ডের মতো সমস্ত বড় বিদেশী কোম্পানিরা ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছে । মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের মেয়াদ যদি আরও বৃদ্ধি হয়, তাহলে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বহুগুণ বাড়বে, কোনও মতেই কমবে না । তাই, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন (FITU) দেশব্যাপি শ্রমজীবী মানুষের হয়ে জোরালো আওয়াজ তুলেছে-- “মোদী - এবার গদি ছাড়ো “আপনজন: শ্রমিক সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (ফিটু) ‘মোদি এবার গদি ছাড়ো’ শিরোনামে এক মাস ব্যাপী সারা দেশ জুড়ে শ্রমিক বিক্ষোভের ডাক দেয় (১লা-৩১শে ডিসেম্বর)। সে উপলক্ষে রাজ্যে তার সূচনার কথা ঘোষণা করা হল কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিটু-র রাজ্য সভাপতি সেখ মোজাফফার, রাজ্য সম্পাদক মহিনুর জামান, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাক্তার মানোয়ারা বেগম, গোলাম রহমান জাঁতুয়া, ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ ও শাহাজাদী পারভীন সহ অন্যান্যরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমগ্র দেশের উন্নয়ন সর্পিল গতিতে নিম্নমুখী হয়েছে। যে বড় বড় প্রতিশ্রুতিগুলো তাকে ক্ষমতায় এনেছিল তা পূরণ করতে না পারার কারণে মোদি বর্তমানে একটি শোচনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছেন । সরকার দেশকে ধীরে ধীরে কর্পোরেট হাউসের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে এবং পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলোকে বেসরকারীকরণের একটা মাদকতা চলছে । নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা মাঝে মাঝে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে । এমতবস্থায়, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং ফ্যাসিবাদী বিজেপি শাসনের ব্যর্থতা সম্পর্কে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী একটি ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করেছে। এই প্রচারাভিযানের অন্যতম দাবিগুলো হল: কোন ব্যক্তি ধর্মঘটে যাওয়ার ৬০ দিন আগে বা নোটিশ জমা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা মীমাংসা বা ট্রাইব্যুনালের কার্যধারার মুলতুবি থাকাকালীন ও কার্যধারার শেষ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পূর্ব নোটিশ না দিয়ে চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ধর্মঘট বা লক-আউটে যাবেন না। স্থায়ী আদেশের সীমারেখা এখন বাড়ানো হয়েছে এবং ৩০০ জন শ্রমিক সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্যই তা প্রযোজ্য হবে ৷
শ্রমিক সংগঠন ফিটু কর্কতাদের বক্তব্য, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি বলেছিল যে, তারা ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর ২ কোটি লোকের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবে । কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতিগুলোও নির্বাচনী বাগড়ম্বরে পর্যবসিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। ভারতে বর্তমানে বেকারত্ব প্রতি বছর গড়ে ৯.১ হারে বেড়েছে। নোটবন্দী, অনিয়ন্ত্রিত জি.এস.টি. লাগু করা এবং করোনা লকডাউনের কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে । কাজ হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ । এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে ।ভারতের বর্তমান অবস্থা এমন যে, ফোর্ডের মতো সমস্ত বড় বিদেশী কোম্পানিরা ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছে । মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের মেয়াদ যদি আরও বৃদ্ধি হয়, তাহলে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বহুগুণ বাড়বে, কোনও মতেই কমবে না । তাই, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নফিটু দেশব্যাপি শ্রমজীবী মানুষের হয়ে জোরালো আওয়াজ তুলেছ ‘মোদি এবার গদি ছাড়ো।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct