এম মেহেদী সানি, গোবরডাঙ্গা: আপনজন: উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গোবরডাঙ্গার কৃষ্ণনগর জামতলা সবুজ সংঘের মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হল ‘মিলন মেলা’ ৷ শনিবার এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় ১৫০০ নেতা কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ৷ নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আলো রাণী সরকার, চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত, গাইঘাটা দক্ষিণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ঘোষ সহ অন্যরা৷ গাইঘাটা দক্ষিণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত মিলনমেলা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আলোরাণী সরকার জানান “ বিভিন্ন দল থেকে প্রায় দেড় হাজার কর্মী-সমর্থক এই মিলনমেলায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন৷’’ যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন “এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় সিএএ-এনআরসি নিয়ে বিজেপি সরকার ভুল বুঝেয়েছিল, তাই মানুষ সেদিকে ঝুঁকেছিল৷ কিন্তু সেগুলো যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিল মানুষ তা বুঝতে পেরে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন৷” আলোরাণী সরকার আরো বলেন “বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতি, প্রত্যেকটি জিনিসের নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়ে উঠেছে, এভাবে চলতে পারে না৷”
আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেন “এই বাংলা শুধু ভারতবর্ষকে পথ দেখায় না, এই বাংলা সংস্কৃতিতে পৃথিবীকে পথ দেখায়৷ কারণ এই বাংলার মাটিতে এমন এমন মনীষীদের জন্ম হয়েছে যারা এই বাংলাকে পৃথিবীর কাছে পরিচয় ঘটিয়েছেন এবং পৃথিবীর মানুষকে দিশা দেখিয়েছেন”। উদাহরণ হিসেবে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের কথা তুলে ধরে বলেন “স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের হিন্দুত্বকে সারা পৃথিবীর মাঝে নতুন করে পরিচয় ঘটিয়েছিলেন।” বাংলার সংস্কৃতিকে কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের কথা তুলে ধরেন, তাঁর জীবনের একটি ঘটনা তুলে ধরে বলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মসজিদে থেকেছেন, ১৩ টি রাত মসজিদে কাটানোর পর বেরিয়ে এসে সব ধর্মের যে মিল রয়েছে সেকথা শিষ্যদের জানান ৷ এ প্রসঙ্গে রফিকুর সাহেব বলেন, এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতবর্ষের মাথায় তুলে ধরা উচিত।
অনুষ্ঠানে দেগঙ্গা বিধানসভার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল বলেন, মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য সকলকে রাস্তায় নেমে সংগ্রাম করতে হবে, যেভাবে বাংলা থেকে আমার বামফ্রন্টকে বিদায় দিয়েছিলাম সেভাবে ভারতবর্ষ থেকে আমারা বিজেপিকে বিদায় জানাব। কেন্দ্রীয় সরকারের তিন কৃষি আইন বাতিল করা নিয়ে এদিনের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে একাধিক বক্তারা মুখ খোলেন৷ স্বরূপনগর বিধানসভার বিধায়ক ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীনা মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন বাতিলের মধ্য দিয়ে বিজেপি সরকারের পিছু হটা শুরু হয়েছে। এদিনের ‘মিলন মেলা’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাবড়া- ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস, গোবরডাঙ্গা পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক তুষার কান্তি ঘোষ, বেড়গুম-১ নম্বর তৃণমুল কংগ্রেসের কনভেনার আব্দুল রউফ প্রমুখ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct