মঞ্জুর মোল্লা ও দেবাশীষ পাল: অবরোধের জেরে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হল অসুস্থ শিশুর। কৃষ্ণনগরে সাং বন্ধের প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলো বিভিন্ন বারোয়ারী মন্দির কমিটির সদস্যরা। অবরোধের কারণে অসুস্থ শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এসএমকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শিশুটিকে। কৃষ্ণনগর জগৎদ্ধাত্রী পুজোর সাং এর সমর্থনে অবরোধের ফলে মৃত্যু হল একটি ৭ বছরের বাচ্চার। বাচ্চাটির নাম শাকিবউল শেখ বাড়ি মালদা জেলার মোথাবাড়ি থানা এলাকার জোত অনন্তপুর গ্রামে। প্রথম শ্রেণির ছাত্র বাড়ির ছাদে খেলা করছিল সেই সময় ছাদ থেকে পরে যায়। তার বাম দিকে মাথায় আঘাত লাগে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকেরা কলকাতা এসএমকেএম স্থানান্তর করে অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কৃষ্ণনগরের জগৎদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে সাং করার সমর্থনে রাত১১ টা নাগাদ ৩৪ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ৪ ঘন্টা পথ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। আটকে পড়ে বহু প্রাইভেট গাড়িসহ পণ্যবাহী গাড়ি। এরই মধ্যে আটকে পড়ে বেশ কিছু এম্বুলেন্সও। প্রশাসনের তরফে একাধিকবার কথা হলেও সমস্যার সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি।আন্দোলনকারীরা কিছু এম্বুলেন্স ছেড়ে দিলেও যানজটের কারণে আটকে পড়ে আরও বেশ কিছু এম্বুলেন্স। মালদা থেকে কলকাতা নীলরতন হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বছর সাতেক এর ওই শিশুকে দীর্ঘক্ষণআটকে পড়ে এই এম্বুলেন্সটিও অনেক চেষ্টা করলেও অ্যাম্বুলেন্স টিকে কোনরকম যাওয়ার সুযোগ করে দেয় নি বিক্ষোভকারীরা যার ফলে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হলো। গুরুতর আহত অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। দীর্ঘক্ষণ অবরোধে আটকে থাকার কারণেই বাচ্চাটি মৃত্যু হয়েছে বলে এমনটাই দাবি করেন বাচ্চাটির পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার জেরে ৭ জন অবরোধ কারিদের গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাদেরকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। উৎসব আনন্দের জন্য দফায় দফায় পথ অবরোধ করেছিল বিভিন্ন বারোয়ারি ও মন্দির কর্তৃপক্ষ সদস্যরা। অনেক বাবা-মা বলছেন কৃষ্ণনগরের এই ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে গিয়ে প্রাণ গেল এক নিষ্পাপ শিশুর! তাই এভাবে শিশু মৃত্যুতে নানা প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct