জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতির নজির হয়ে চরণ পাহাড়ী কালী দীর্ঘ দিন ধরে পূজিত হয়ে আসছেন পুরুলিয়ার পুঞ্চাতে। কথিত আছে স্বপ্নাদেশে এই কালী স্থাপন করেছিলেন ১৩৫৭ বঙ্গাব্দে পুঞ্চা থানার তৎকালীন পুলিশ আধিকারিক জি.টি.লতিফ। তিনি ওই এলাকায় ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়াতেন। একদিন স্বপ্নাদেশ পান পুঞ্চার গা লাগোয়া একটি ছোট্ট টিলার বুকে কালী ঠাকুরের পায়ের ছাপ আছে। আর সেখানেই তাঁকে পুজো করতে হবে।
স্থানীয় মানুষজন জানান, মুসলমান হলেও স্বপ্নাদেশ উপেক্ষা না করে দারোগা সাহেব তিনি স্থানীয় মানুষজনদেরকে ডেকে সেই টুংরিতে যান এবং সত্যি একটি পাথরের উপর পদ চিহ্ন দেখেন বলে দাবি করেন। এরপরেই তড়িঘড়ি শুরু হয় সেখানেই মন্দির নির্মাণের কাজ। এভাবেই টানা প্রায় ১০০ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো। এখানে পুজো কমিটিতে রয়েছেন হিন্দু ও মুসলমান উভয় সাম্প্রায়ের মানুষ। যদিও পুজো করেন ব্রাহ্মণ। এলাকার বাসিন্দা তথা শবর পিতা অরূপ মুখার্জী বলেন ,এই পুজোকে ঘিরে একটা অন্যরকম উৎসাহ দেখা যায় স্থানীয় মানুষজনদের মধ্যে। প্রথমত টিলার উপরে মন্দির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর তার উপর এখানে রয়েছে সমস্ত মানুষের এক সঙ্গে চলার প্রবণতা।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী বলেন ,গোটা ভারত বর্ষের কাছে এই মন্দির একটি উদাহরণ হতে পারে।যেখানে কোন ভেদাভেদ নেই। কালী পুজোর দিন এখানে ধুমধাম করে উৎসব হয়। খিচুড়ি প্রাসাদ কয়েক হাজার মানুষ খান বলেছেন মন্দির কমিটির সম্পাদক মলয় হালদার। এরপর বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রতি বছর হয়ে থাকে, এবছরও হবে, তবে অবশ্যই এবছর কোভিড বিধি মেনে অনুষ্ঠানে কাট ছাঁট করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct