দেবাশীষ পাল, মালদা: শারোদৎসব কাটতে না কাটতেই মালদা জেলা জুড়ে করোনা পরীক্ষা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকা করনের উপরে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ঢেউ ঠেকাতে করণা পরীক্ষার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। উৎসবের রেস মিটতে না মিটতে করোনার তৃতীয় ঢেউর ধাক্কা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ পড়া শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর তাদের। পুজোর দিনগুলিতে মাক্স না পড়া এবং দূরত্ব বিধি না মানায় । করণা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি মোকাবিলার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফ থেকে প্রতিদিন মালদা জেলায় করোনা পরীক্ষা সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া ইতিমধ্যেই হয়েছে। রোগ ছড়ানোর আগেই রোগীকে চিহ্নিত করে নিভুতবাশে রেখে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার শৈবাল ব্যানার্জি জানান রাজ্যে করনার তৃতীয় ঢেউ আসার একটা সম্ভাবনা আছে আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে নির্দেশ অনুসারে আমরা জেলায় টিকাকরণ বাড়িয়েছি আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন ৮০০০০টিকাকরণ করার। পাশাপাশি রেপিট টেস্ট ও আর্টিফিশিয়া দুটো মিলে দিনে প্রায় ২০০০ ইতিমধ্যেই করা হচ্ছে।জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর পুজোর সময় খুবই কম মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে এসেছেন ফল সংক্রমনের প্রকৃত অবস্থা সামনে আসেনি।
পুজোর দিনে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও খুব বেশি মানুষটি করেননি । ফলে একদিকে যেমন উৎসব এর ভিড়ে করো না ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে তেমনি মানুষ সে ভাবে পরীক্ষা করানো এবং টিকা নিতে না আসায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই এগিয়েছে বলে মনে করেছেন স্বাস্থ্যকতারা। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার শৈবাল ব্যানার্জি জানান জেলায় টিকাকরণ কর্মসূচি দ্রুততার সাথে এগোচ্ছে।১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ২২লক্ষ টিকাকরণ দাওয়া হয়েছে।
জেলার প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে অক্সিজেন পরিষেবা যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ব্লক লেভেলের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন প্লান্ট ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং চাচোল সুপার হসপিটাল এ বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সবদিক থেকেই আমরা তৃতীয় করোনার ঢেউ আসার আগেই আমরা প্রস্তুত নিয়েছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct