আপনজন ডেস্ক: পুরুষ বলতেই শারীরিক-মানসিকভাবে শক্তপোক্ত মানুষ হবে।এমন ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় ক্রমে পুরুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্র কমছে। আবার পাছে কেউ তাকে দুর্বল ভাবল কি না, সেটা ভেবে অনেক পুরুষ তাদের দীর্ঘদিনের অব্যক্ত কথা ও চিন্তা প্রকাশ না করে নিজের মনের ভেতরে চিরতরে সমাহিত করে। পুরুষ হয়ে ওঠার এই সামাজিক শিক্ষা ব্যাপক প্রসার লাভ করায় পুরুষেরা তাদের মানসিক চাপ নিয়ে কথা বলতে চায় না।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষেরা বংশপরম্পরায় এমন শিক্ষাই বহন করে চলেছে যে একজন পুরুষ জীবনে সফল হবে, পরিবারের সবার জন্য অর্থ উপার্জন করবে, পরিবারের সবার দায়িত্ব নিজ থেকে পালন করবে এবং সবার পরিস্থিতি সঠিকভাবে অনুধাবন করে তাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে, এটাই তার বেঁচে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য।এমনকি প্রতিটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষের কাছ থেকে এমনটা আশা করে যে সব পরিস্থিতি ও কঠিন চাপে পুরুষ ভেঙে পড়বে না এবং কোনো অবস্থাতেই সে দুর্বলতা প্রকাশ করবে না। অনেক পুরুষ আবার এই সামাজিক শিক্ষা জন্ম থেকেই তার ঘাড়ে বিশাল এক বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে মনে করে মানসিকভাবে হয়ে ওঠে বিরক্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, মহিলার তুলনায় বিশ্বব্যাপী পুরুষের আত্মহত্যার প্রবণতা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এবং এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া পুরুষ হয়ে ওঠার সংগ্রামে ব্যাপক মানসিক চাপে পিষ্ট ও মানসিকভাবে ক্লান্ত পুরুষের বিভিন্ন শারীরিক অসুখে মৃত্যুবরণ করার সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। ফলে বিশ্বব্যাপী মহিলার তুলনায় পুরুষের গড় আয়ু কম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct