নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: ১৫ বছর ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করে আসছেন ১০০ দিন কাজের সুপারভাইজারা। পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত জুটাতে হিমশিম খাচ্ছে তাঁরা।বেতনের দাবি সহ নতুন নিয়মে কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দুই শতাধিক সুপারভাইজারকে নিয়ে এক আলোচনা সভা করলেন মালদা জেলা একশো দিন প্রকল্পের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সুপারভাইজার সংগঠনের সভাপতি আফসার হোসেন।এদিন আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট বিডিও আমিন মুর্মু সহ ব্লক নেতৃত্বরা।
সভাপতি আফসার হোসেন জানান ২০০৬ সাল থেকে সুপারভাইজাররা বেতন ছাড়াই রৌদ-বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে মাঠে একশো দিনের কাজের তদারকি করে আসছে।এমনকি পঞ্চায়েতে সময় মাফিক মাস্টার রোল তৈরি করে জমা দিতে হয়।অভিযোগ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বেতনের জন্য বারবার স্বারক লিপি দিয়েও হয়নি কোনো কাজ।পঞ্চাশজন শ্রমিক পিছু একজন সুপারভাইজার দৈনিক মজুরি হিসেবে ৩৮৬.৫০ টাকা পায়।সবদিন মজুরি জুটেও না।সামান্য মজুরিতে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে পরিবার।
তিনি আরোও জানান কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিন কাজের সুপারভাইজারদের জন্য এনএমএমএস নামে এক ডিজিটাল অ্যাপ তৈরি করেছে।যা লগইন করে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।শ্রমিক সংখ্যা উপস্থিত দেখিয়ে আপলোড করতে সমস্যা হয়।এদিন অ্যাপটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।
কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সুপারভাইজার চন্দন কুমার রায় জানান সে ২০১৩ সাল থেকে সুপারভাইজারের কাজ করে আসছে।তার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। দৈনিক ৩৮৬ টাকা মজুরি করলেও সবদিন পায়না।এই সামান্য মজুরিতে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দুর্দশার কথা ভেবে বেতন চালু করলে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে।এই পুজোতে কিভাবে টাকা জোটাবে তা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
জয়েন্ট বিডিও জানান নতুন অ্যাপ সম্পর্কে হাতেকলমে সুপারভাইজারদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবং তাদের বেতনের দাবি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct