আপনজন ডেস্ক: জার্মানির ভোটে এবার কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। এমন ইঙ্গিতি পায়া গেছে জনমত সমীক্ষায় কোনো দলের স্পষ্ট জয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ২৬ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর জোট সরকারের রূপরেখাও স্পষ্ট হচ্ছে না। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রচার-প্রচারণা সত্ত্বেও জার্মানিতে এবারের নির্বাচনের ফল সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না। জনমত সমীক্ষায় সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যে ফারাক অতি সামান্য। অতীতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এমন সমীক্ষার ইঙ্গিত বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া এবারের সমীক্ষার প্রশ্নের জবাবে অনেকেই জানিয়েছেন যে তারা এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি। রেকর্ড মাত্রা পোস্টাল ব্যালটও সব হিসাব গোলমাল করে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবারের টেলিভিশন বিতর্কে উপস্থিত শীর্ষ নেতারা নিজেদের অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য আরো জোরালোভাবে তুলে ধরে অবশিষ্ট ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্দিষ্ট জোট গড়লে তার পরিণাম কী হবে, ওই বিষয়েও সতর্ক করে দিলেন। এ প্রথম কোনো বিতর্কে পররাষ্ট্র, প্রতিপক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব পেল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান শক্তি হিসেবে পরিচিত দেশ জার্মানির ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়েও শীর্ষ নেতারা নিজেদের অবস্থান জানালেন। এমন প্রেক্ষাপটে রোববারের নির্বাচনের ফলাফল ও তারপর সম্ভাব্য জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়ছে। এসপিডি প্রার্থী ওলাফ শলৎস ও ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী আরমিন লাশেটের হাতে সংসদের আসনসংখ্যার মধ্যে ফারাক যদি সত্যি খুব কম হয়, ওই ক্ষেত্রে দু’পক্ষই সমান্তরালভাবে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাকিদের সাথে আলোচনা চালাতে পারে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। ১৯৭৬ সালে এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় শক্তিশালী শিবির হিসেবে এসপিডি দলের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct