আপনজন ডেস্ক: বিভিন্ন কারণে পিঠে মেদ জমতে পারে। যেমন- শরীরচর্চার অভাব, একটানা এক জায়গায় বসে কাজ করার অভ্যাস, সোডিয়াম বা সুগার জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ইত্যাদি। আবার ছোট জামা-কাপড় পরলে তা পিঠে লাম্প ফ্যাট তৈরি করে। এছাড়াও জেনেটিক্স, ওজন, উচ্চতা পিঠের ফ্লাকচুয়েটিং ফ্যাটের কারণ। পিঠের মেদ কমাতে সবার প্রথমে নজর দিতে হবে সুষম ডায়েটে। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট কমিয়ে ফাইবারযুক্ত ও কম সোডিয়াম গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো, সেদ্ধ ডিম, শাকসবজি, ব্রাউন রাইস, বার্লি, মাশরুম, টফু, সামুদ্রিক মাছ, চিকেন ব্রেস্টসহ শস্য ও ফল খেতে হবে। তাহলে শরীরের সব মিনারেল ও ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি লাইফস্টাইলে আনুন পরিবর্তন। ওজন ঝরাতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি পিঠের মেদ কমাতে বেশি করে হাঁটার অভ্যাস করুন। ধূমপানের অভ্যাস বাদ দিন। বসার সময় সোজা হয়ে বসুন। ইনসুলিন লেভেল নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ফস্টফুড খাওয়া বন্ধ করুন। পাশাপাশি রোয়িং এক্সসারসাইজ করুন। এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে বেঞ্চ বা টুলের ওপর এক পায়ে ভর দিয়ে একটি হাত রাখুন সাপোর্টের জন্যে। এরপর ডান হাতের কনুই ভাঁজ করে বারবেল তুলুন যাতে করে কাঁধ ও পিঠে চাপ পড়ে। এছাড়া করতে পারেন সুপারম্যান এক্সারসাইজ। ম্যাটে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পেট ও বুক মাটিতে রেখে হাত ও পা স্ট্রেচ করে একটু একটু করে ওপরের দিকে তুলুন। অন্তত ৬ ইঞ্চি তুলতে হবে। এভাবে ১০ বার করুন। তারপর ধীরে ধীরে হাত ও পা নামিয়ে আনুন ও রেস্ট নিয়ে রিপিট করুন। সবচেয়ে ভালো ল্যাটেরাল রেইজ ব্যায়াম। দুই হাতে ডাম্বেল নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়ান। শ্বাস নিয়ে হাত দুটোকে শরীরের দু’পাশে নিয়ে আসুন। এরপর হাত দুটোকে যতটা সম্ভব সাইডওয়েজ ওপরে তোলার চেষ্টা করুন। দুটো হাতের দুরত্ব বজায় রাখূন। কাঁধে খুব বেশি চাপ না দিয়ে কনুই ধীর ধীরে ভাঁজ করুন। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন ও হাত পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct