নাজিম আক্তার, চাঁচল: পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি মতো ২০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে পারেনি বলে আবাস যোজনার ঘরও মেলেনি বলে অভিযোগ চাঁচল আমলাপাড়া এলাকার এক দম্পতির। দ্বারস্থ বিডিও অফিসে।
এবারও নতুন করে তালিকায় নাম এসেছে কিন্তু ফের টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।বারবার কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও হয়নি বার্ধ্যক্য ভাতা।রেশনের চাল দিয়ে নুন ভাত খেয়ে দিনগুজরান করেন ওই দম্পতি।
ওই এলাকাতেই বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা পম্পা চৌধুরীর। কিন্তু বৃদ্ধ দম্পতির দিকে তিনি ফিরেও তাকাননা বলে অভিযোগ। আর কতটা অসহায় হলে মিলবে সরকারি সাহায্য, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বৃদ্ধা গয়া দাস।
জানা গেছে আমলাপাড়ায় ত্রিপল দিয়ে কোনও রকমে ঢাকা ভাঙাচোরা বাড়ি।গয়ার দুই ছেলের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। আরেক ছেলে অন্য এলাকায় সংসার পেতেছেন!বাড়িতে অসুস্থ স্বামী গৌর দাসকে নিয়ে থাকেন গয়াদেবী।স্বামী একচোখে দেখেন না। পাশাপাশি অসুস্থ হওয়ায় কাজও করতে পারেন না।গয়াদেবীরও কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। অর্থাভাবে চিকিত্সা করাতে পারেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করলেও তা এখনও মেলেনি। বিজেপির স্থানীয় সদস্য পম্পা চৌধুরী বলেন, আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকলেও উনি পঞ্চায়েতে নথি জমা দেননি বলে ঘর পাননি। এখন বদনাম করতে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
চাঁচল ১ ব্লক বিডিও সমিরন ভট্টাচার্য জানান অভিযোগ জমা পড়েছে, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct