আপনজন ডেস্ক: ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার চেতলায় প্রথম নির্বাচনী কর্মীসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো দলীয় কর্মীদের বলেছিলেন, দিদি জিতে যাবে বলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। ভোটারদের ভোটমুখী করতে হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বার্তা দিতে হবে। অর্থাৎ মমতা চাইছেন ভবানীপুরে যেন গতবারের থেকে লিড বেশি হয়। মমতার সেই কর্মীসভার পর বিজেপি কোমর বেঁধে মমতার গড়ে নির্বাচনী যুদ্ধে নামতে চলেছে। বলা যায়, প্রথম থেকেই তারা ছক কষছে কী করে মমতার ভোটে থাবা বসানো যায়। সেই লক্ষ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছে আইনজীবী ও ভবানীপুরের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালেকে প্রার্থী করেছে। বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে তারা একজন করে বিধায়ককে দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূলকে চাপে রাখতে চাইছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও সিপিএম মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে আইনজীবী শ্রীজিব বিশ্বাসকে। তাই উপনির্বাচন হলেও হালকাভাবে নিতে চাইছেন না মমতা। তাই ভবানীপুরেই বেশি করে প্রচারে সময় দিতে চাইছেন মমতা। তাই মুর্শিদাবাদের যে দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে সেই জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জে প্রচারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেকথা জানিয়েছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানও। ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল মমতার। সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদে সহজেই তৃণমূল জিতবে, এই আত্মবিশ্বাসে ভর করে সেখানে প্রচারে যেতে চাইছেন না মমতা।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপনির্বাচনের সঙ্গেই ওই দুই কেন্দ্রে ভোট ৩০ সেপ্টেম্বর। শনিবার তৃণমূল সুত্র জানিয়েছে, ভোটের প্রচারে ভবানীপুরে জোর দেওয়ার জন্য মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।। তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান এ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, রাজ্য নেতৃত্ব তাদরেকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভোটের প্রচারে আসবেন না। তাই তারা নিজেরাই প্রচারের কাজ চালাবেন। রাজ্য নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবেন তেমনভাবে চলবেন তারা।
যদিও শুধু তৃণমূল নয়, বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকেও জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জ উপনির্বাচন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য তেমন করা হচ্ছে না। এর মূলে হতে পারে প্রার্থী নির্বাচন।
এর আগে বিজেপি যে মাফুজা খাতুনকে উত্তর দিনাজপুর থেকে জঙ্গিপুরে এনে মুসলিম ভোটে থাবা বসানোর চেষ্টা করেছিল, সেই ছক ব্যর্থ হওয়ায় এবার ভূমিপূত্র খুঁজছে। কিন্তু কেউই নাকি নিশ্চিত হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোটে দাাঁড়াতে চাইছেন না।
অাসলে এর মূলে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন। জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী করেছে গতবারের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে। শামসেরগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন গতবারেরই বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। আর শামসেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী তথা তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের বাই জইদুর রহমান নির্বাচন তেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই সুবিধাজনক জায়গা থেকেই মমতা আর মুর্শিদাবাদে প্রচারে যেতে চাইছেন না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে শোনা যাচ্ছে। তাই ভবানীপুর উপনির্বাচনের সঙ্গেই ভোট হবে সেখানেও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct