আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে দিন দিন গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। আর তার সবটাই প্রায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কারণে। এবার এক ১৭ বছর বয়সি অটো মেকানিকেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার শামলি শহরের কাছে বানাত গ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক মুসলিম অটো মেকানিককে জনতা বেধড়ক মারধর করে। তাতে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আট আসামির বিরুদ্ধে আদর্শ মান্ডি থানায় হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ অফিসার সুনীল নেগি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তদন্ত শুরু কররা হয়েছে এবং মূল অভিযুক্ত বর্ধনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এফআইআরে আরও সাতজনের নাম রয়েছে। তারা হল ভাতানরাজ, অক্ষয়, রাজ, আশিস, লাকি, চিন্টু (আয়ুষ রানা) এবং ভন্ডা।
নেগি আরও বলেন, অভিযুক্তরা জাঠ সম্প্রদায়ের এবং গণপিটুনির শিকার মুসলিম সম্প্রদায়ের। খুনের পাশাপাশি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ ও ১৪৮ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগও এনেছে।
জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী সমীর চৌধুরী গ্রামের বাজারে একটি কাজে বেরিয়েছিলেন যখন জনতার হাতে তিনি লাঞ্ছিত হন।
তার কাকা আদিল চৌধুরী জানান, উন্মত্ত জনতা তার মাথায় বারবার আঘাত করে, যার ফলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। এরপর মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। তাকে শামলির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যেখানে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুজফফরনগর শহরে রেফার করেছিলেন তবে পথে তিনি আহত হয়ে মারা যান।
সামির আত্মীয় পারভেজ বলেন, একদল মুসলিম ছেলে জাঠ সম্প্রদায়ের ছেলেদের সাথে কোন বিষয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। তারপর তাদেরকে মারধর শুরু করা হয়। তারা পালিয়ে বাঁচলেও সমীর পালাতে পারেনি। তারা জনতার আক্রোশের শিকার হয়।
দিনকতক আগে, মুজাফফরনগরের কৃষক মহাপঞ্চায়েতে সম্প্রীতির যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, এই ঘটনা তা ভেঙে দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct