আপনজন ডেস্ক: বহু মানুষের চিকিৎসা, ওষুধ কিংবা বংশগত কারণে বগলে কালচেভাব দেখা দেয়। আর যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা হয়ত নানানভাবেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে সমস্যার কারণটা আগে জানতে পারলে সে হিসেবে ব্যবস্থা নিলে সমাধান সম্ভব। কালচে দাগের পেছনে রয়েছে নানান কারণ। সাধারণত চিকিৎসা, ওষুধ এমনকি বংশগতিও প্রভাব রাখে বাহুমূল কালচে হওয়ার পেছনে। এছাড়া ত্বকের রং, ধরন ইত্যাদিও প্রভাব রাখে। নিউ ইয়র্কয়ের বোর্ড প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. মারিসা গার্শিক বলেন, 'সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারিদের ফুসকুড়ি, রাশ ও জ্বালাপোড়ার কারণে হাইপারপিগ্মেন্টেইশন দেখা দিতে পারে।' যুক্তরাষ্ট্রের আর এক নিবন্ধিত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. ডেব্রা জালিম্যান বলেন, 'যাদের গায়ের রং কিছুটা গাঢ় তাদের বগল কালো হওয়ার ঝুঁকি বেশি, এর কারণ হল ‘কোষের গাঢ় রং।’ডা. গার্শিক বাহুমূল কালচে হওয়ার পেছনে আরও কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ জানান। প্রথমত, বংশগত কারণে বাহুমূল কালচে হতে পারে। ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম’ বা ডায়াবেটিসের কারণেও এমনটা দেখা দেয়।
ডা গার্শিক ব্যাখ্যা করেন, “ইন্সুলিন প্রতিরোধ, যা ডায়াবেটিস বা ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম’য়ের ক্ষেত্রে হতে পারে। এর ফলে এক ধরনের কালচেভাব দেখা দিতে পারে যা ‘অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকানস নামে পরিচিত।” অতিরিক্ত ঘামের কারণেও কালচেভাব দেখা দেয়। ঘামপ্রবণ স্থান বেশি আর্দ্র থাকে ও অস্বস্তি বাড়ায়। ফলে সে সকল স্থানে কালো হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। ‘পোস্ট ইনফ্লামাটরি হাইপারপিগ্মেন্টেশন’, ত্বকের যে কোনো জ্বালা পোড়া যেমন- শেইভিংয়ের কারণে হওয়া জ্বলুনি, প্রদাহ, রাশ ইত্যাদি ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও আক্রান্তস্থানে কালচেভাব রয়ে যেতে পারে। কিছু অ্যান্টিসেপ্টিক বা প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট ত্বকে একজিমা, অ্যালার্জি বা জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে। এতে ত্বকে কালচেভাব দেখা দেয়। বগলে কালচেভাব দূর করতে অনেক পদ্ধতি রয়েছে। নায়াসিনামাইড, অ্যাজেলাইক অ্যাসিড, রেটিনল এবং অন্যান্য উপাদান যা কালচেভাব কমাতে সহায়তা করে, এসব ব্যবহার উপকারী বলে জানান, এই ত্বক বিশেষজ্ঞ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct