কুতুবউদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং: সুন্দরবনের আনাচে কানাচে এখন বহন করে চলেছে কু-সংস্কার রীতিনীতি। বর্তমান ডিজিটাল সময়ে এক বিংশ শতাব্দীতে আজও মানুষের বিশ্বাস সাপে কাটা মৃতদেহকে কলার ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দিলে হয়তো আবারও বেঁচে ফিরে আসতে পারে! আর এই বিশ্বাস আজ তাড়া করে বেড়াচ্ছে সুন্দরবনের এলাকায়। বর্তমান সময়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী থানার গদখালির মসজিদবাটী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মসজিদবাটী এলাকার বাসিন্দা বছর সাতেকের নাবালিকা সঙ্গীতা নস্কর। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। আর রাত বাড়ার সাথে সাথে আচমকাই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন নাবালিকা তার পরিবারের সদস্যদের জানাতে থাকে তাকে কিছু কামড় দিয়েছে। তার কথা শুনে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসন্তী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ।এরপর সেখানে ডাক্তাররা তাকে দেখার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর পরিবারের লোকজন মৃত দেহটিকে নিয়ে চলে আসে বাড়িতে। শুরু হয় নাটক। শনিবার বাড়িতে এক কুসংস্কারের নিয়মাবলি চাঁদরে মুড়ে ফেলে তাকে কলার ভেলায় ভাসানোর চেষ্টা করে। এই খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে সুজিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, এক সাপে কাটা নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা না বুঝে কলার ভেলায় ভাসানোর চেষ্টা করছিল। মৃতের পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে সুজিয়ে দেহটি উদ্ধার করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct