আপনজন প্রতিবেদক: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ভাঙড়। সভা সমাবেশ করা নিয়েও বিতর্ক জমে উঠেছে ভাঙড়ের রাজনীতির অন্দরমহলে। শনিবার সেই ছবি ফের একবার চাক্ষুশ করল ভাঙড়বাসী। প্রসঙ্গত শনিবার ভাঙড়ের ব্যাওতা ১ নম্বর অঞ্চলে তৃণমূলের এক কর্মীসভা থেকে দলেরই এক অংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। শনিবার প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে তোলাবাজি বন্ধ করার নিদান দেন রেজাউল করিম। ভাঙড়ে তোলাবাজি রুখতে ঘরের মহিলাদের হাতা, খুন্তি দিয়ে প্রতিবাদ করার আহ্ববান জানান তিনি। এদিনে তাঁর ঝাঁজালো বক্তব্যে থেকে ভেসে এল প্রতিবাদের সুর।
প্রসঙ্গত একুশের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ভাঙড়ে আরাবুল বিরোধী হিসাবে পরিচিত রেজাউল করিম। ভোটে পরাজয়ের পর, দিন যত গড়িয়েছে সেই দ্বন্দ্ব যেন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এ যেন এক সাপে নেউলে সম্পর্ক।
ভাঙড়ে দুই তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন এবং অহিদুল ইসলামের প্রয়ণের পর ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটে যাবে, এমনই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু ভাঙড় আছে ভাঙড়েই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক শিবিরের।
এদিন ভাঙড়ের তৃনমূল নেতা আব্দুর রহিম, মিজানুর আলম,মহাসিন গাজী, ফিরোজ সাপুই, সাবির মাস্টারকে সাথে নিয়ে তৃণমূলের কর্মী সভা থেকে স্বচ্ছ ভাঙড় গড়ার ডাক দেন রেজাউল করিম। শুধু তাই নয় এদিন তিনি বলেন, বর্তমানে ভাঙড়ে ব্লক সভাপতি নেই, তাই আমরা ভাঙড়ের কার্যকরীরী সভাপতির নির্দেশ মতো চলব। আমাদের সমস্ত সভা সরকারি, কিন্ত অন্যরা যে সভা করছে তা কখনোই বৈধ নয়।
উল্লেখ্যে, সামনে একুশে জুলাই তার আগেই ভাঙড়ের শাসক শিবির দ্বিধাভিবক্ত দুই মেরুতে। যার জেরে অস্বস্তিতে শাসক দল। তার উপরে বিষফোঁড়ার মত ঝুলছে ব্লক সভাপতির পদ। কোভিডে প্রয়াত হয়েছেন ভাঙড়ের ব্লক সভাপতি অহিদুল ইসলাম, তাই সেই পদ এখনও ফাঁকা। কে হবেন ভাঙড় ২ এর ব্লক সভাপতি, আরাবুল না রেজাউল কোন গোষ্ঠীর নেতা নাম বিবেচিত হবে? তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তারই মধ্যে এদিন প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে বকলমে রহিম মোল্যাকেই আগামীর ভাঙড়ের ব্লক সভাপতি হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সবমিলিয়ে ভাঙড়ে আরাবুল বনাম রেজাউল করিমের রাজনৈতিক লড়াই যে প্রকাশ্যে চলে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কে হবে ভাঙড়ের ব্লক সভাপতি? কোন পথে মোড় নেবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct