রথযাত্রার ইতিহাস
তাপস কুমার বর
_________________
আমার নীলমাধব তুমি কোথায় গেলে?
কত খুঁজেছি নির্জনে.....
তুমি তো বিষ্ণুরূপী ভগবান,
রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে কি দেখা দেবে!
বিমর্ষ রাজা আজ কাঁদছে....
প্রহরী পুরোহিত কে ডাকো এদিকে।
তোমার ভাই বিদ্যাপতিকে পাঠাও...
আমার পরম ভগবান নীলমাধবের সন্ধানে।
বিদ্যাপতি এখনো কি কোন খবর এনেছে?
তাকে পাওয়া যাচ্ছে না মহারাজ,
জঙ্গলের অজানা উদ্দেশ্যে কোথায় হারিয়ে গেছে!
আজ বিদ্যাপতি ক্লান্ত পথিক হয়েছে...
কে ওই সুন্দরী আমাকে পাগল করেছে?
শবর রাজ বিশ্ববসুর কন্যা ললিতা নাম আমার।
ধীরে ধীরে দুজনে...
প্রেম-প্রণয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে।
বিদ্যাপতি লক্ষ্য করে.....
ললিতা তোমার পিতা কোথায় যান একা জঙ্গলে?
জানতে পারেন বিদ্যাপতি.....
ওই নীল পর্বতে ভগবান নীলমাধবের মূর্তি আছে।
জানতে পেরে বিদ্যাপতি,
চট জলদি রাজা ইন্দ্রদুম্নের কাছে খবর দিলে।
রাজা আনন্দিত মহানন্দে নীলমাধব নিয়ে যাবে,
দৈব বাণীর নির্দেশে.....
অগোচরে তিন সপ্তাহ কাষ্ঠমূর্তি নির্মান হবে।
হায় হায় রাণী গুণ্ডিচা এ কি তুমি করলে?
শর্ত ভাঙার অপরাধে.....
রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন কাঁদছে।
ভগবান কি সহতে পারে.....
স্বপ্নাদেশে রাজাকে দৈববাণী শোনালে,
ওই অর্ধসমাপ্ত তিন মূর্তি....
জগৎ জুড়ে পূজিত হবে।
পরদিন রাজমহলে ...
সকলে জয় জগন্নাথ জয় জগন্নাথ বলে চিৎকার করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct